দেশের ৬০০ জন আইনজীবী দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি পাঠিয়েছেন দেশের প্রধানবিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে আইনজীবীরা অভিযোগ তুলছেন, বিচার ব্যবস্থার উপর রয়েছে বাইরের চাপ। এরপরই সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে পাল্টা কংগ্রেসকে ঠুকে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এক্স হ্যান্ডেলে মোদী তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘ভয় দেখানো আর হেনস্থা করা এগুলো কংগ্রেসের প্রাচীন সংস্কৃতি।’ বিশিষ্ট আইনজীবী হরিশ সালভে সহ একাধিক তাবড় আইনজীবীরা নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে চিঠি লেখেন দেশের প্রধান বিচারপতিকে। সেই ৬০০ আইনজীবীর চিঠি প্রধান বিচারপতিকে লেখার কয়েক ঘণ্টা পরই নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত কংগ্রেসকে একহাত নেন। কংগ্রেসকে 'স্বার্থপর' আখ্যা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মোদী বলেন, ‘অন্যদের ভয় দেখানো আর হেনস্থা করা, এগুলো কংগ্রেসের প্রাচীন সংস্কৃতি। ৫ দশক আগে তারা নিজেরাই একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিচারবিভাগের দাবি জানিয়ে আসছিল।’ মোদী কংগ্রেসকে টার্গেট করে লিখছেন, ‘এখন নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তাঁরা নির্লজ্জভাবে অন্যদের থেকে প্রতিশ্রুতি দাবি করছে। তবে তারা দেশের জন্য কোনও প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি।’ পোস্টের শেষে মোদী লেখেন, ‘এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ ১৪০ কোটি দেশবাসী তাঁদের পরিত্যাগ করেছেন।’
উল্লেখ্য, হরিশ সালভে, মনন কুমার মিশ্র, আদিশ আগারওয়ালা, চেতন মিত্তল, পিঙ্কি আনন্দ, হিতেশ জৈন সহ ৬০০ জন আইনজীবী দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিঠি লেখেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে। সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্রও এই চিঠির প্রেরকদের তালিকায়। চিঠিতে অভিযোগ রয়েছে দেশের বিচারব্যবস্থায় বাইরে থেকে প্রভাব খাটানো হচ্ছে। অভিযোগ করা হয়েছে, এরফলে দেশের বিচারব্যবস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই আইজীবীদের চিঠি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। আইনজীবীরা তাঁদের চিঠিতে দাবি করছেন, ‘স্বার্থপর কিছু গোষ্ঠী’ দেশের বিচারব্যবস্থায় প্রভাব ফেলছে। তাঁদের দাবি, বিশেষত এগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক দুর্নীতির মামলায়। এরপরই মোদী পাল্টা তোপ দাগেন কংগ্রেসকে টার্গেট করে।