পণপ্রথা জেরে বিহারে অকালেই ঝড়ে গিয়েছে বহু প্রাণ। বহু নারীর জীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। এবার সেই পণপ্রথার বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিতে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নামল বিহারের স্টেট ওমেন ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। পণের জেরে দাম্পত্য জীবন কীভাবে বিষিয়ে উঠছে সেব্যাপারেই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে চাইছে দফতর। সেক্ষেত্রে পণপ্রথার বিরুদ্ধে বিয়ের কার্ডেই স্বেচ্ছায় মুচলেকা দেওয়ার ব্যাপারেও বলা হচ্ছে। এব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ফেরাতে এনজিওর সহায়তাও নেওয়া হবে।
এদিকে ২০২০তে পণপ্রথার জেরে মৃত্যুর নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিহার। একবছরে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০৪৬জন। উত্তরপ্রদেশ ছিল শীর্ষ স্থানে। ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো অনুসারে যোগী রাজ্যে পণপ্রথমার বলি হয়েছিলেন ২২৭৪জন। এদিকে সম্প্রতি বিহারে সমাজ সুধার যাত্রার সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তখনই তিনি বিয়ের কার্ডে পণপ্রথা বিরোধী মুচলেকা লেখার জন্য অনুরোধ করেন।
তবে ২০১৭ সাল থেকেই বিহারে পণপ্রথার বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ২০১৭ সালে গোটা রাজ্যজুড়ে মানব শৃঙ্খলও তৈরি করা হয়েছিল। ওমেন ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর অজয় শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, বিয়ের কার্ডে পণপ্রথা বিরোধী বার্তা লেখা নিয়ে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। এনিয়ে ব্যাপক প্রচার করা হবে। এক্ষেত্রে ইউনিসেফেরও সহায়তা নেওয়া হবে।