প্রচারপর্বে বারবার ভোটাররা তুলেছিল বাঁদরের উপদ্রবের কথা। এবার তাই লোকসভায় সেই প্রসঙ্গ তুললেন বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী।
এদিন জিরো আওয়ারে মথুরার সাংসদ বলেন যে ধর্মীয় স্থানে বাঁদরের উপদ্রব অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে এবং সরকারের এই বিষয়ে কিছু করা উচিত। বৃন্দাবন ও মথুরায় এই সমস্যায় নাজেহাল তীর্থযাত্রীরা বলে জানান তিনি। বন্ধাত্বকরণের প্রচেষ্টা করলে বাঁদরগুলি মারমুখী হয়ে উঠছে বলেও জানান হেমা মালিনী।
বাঁদরদের জন্য মাঙ্কি সাফারি বানানোর সওয়াল করেন তিনি। তাঁর মতে, এখন আর কলা খেতে পছন্দ করে না বাঁদররা। মানুষেরা যেহেতু অনেক সময়েই বাঁদরদের খাওয়ার দেয়, এখন সেই সব খাদ্যই ওদের পছন্দ হয়ে বলে জানান হেমা। সেই প্রসঙ্গে হেমা জানান যে এখন আর ফল নয়, ফ্রুটি এবং সিঙাড়া খেতে পছন্দ করে তারা।
একই সঙ্গে তিনি বলেন যে জঙ্গলে অনেক ফলের গাছ লাগাতে হবে, যাতে সেখানে থাকতে পারে বাঁদররা।
এলজেপি নেতা চিরাগ পাসওয়ান জানান যে দিল্লির অভিজাত অঞ্চলেও প্রচন্ড উপদ্রব বাঁদরের। ভয়ে বাগানে ঘুরতে যায় না বাচ্চচারা। তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে একবার তার চশমা নিয়ে নিয়েছিল একটি বাঁদর। ফ্রুট জুস দেওয়ার পরেই বাঁদর ফেরত দেয় তাঁর চশমা, জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।