সপ্তাহের শুরু থেকে রাশিয়ার হামলা জোরদার হতে থাকে ইউক্রেনের বড় শহরগুলিকে তাক করে। এরপর সোমবার থেকেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পর পর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পর পর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠতে থাকে কিয়েভ।
জানা যায়, শহরজুড়ে শুধুই ধোঁয়া আর আগুনের ছবি দেখা যেতে শুরু করেছে সকাল থেকে। এই বিস্ফোরণের ফলে মৃতের সংখ্যা ৫ জন কমপক্ষে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। মনে করা হচ্ছে, রাশিয়ার মিসাইল হামলার জেরেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে গিয়েছে। কিয়েভের মেয়র জানিয়েছেন, শেভেশেনকো এলাকায় এই বিস্ফোরণ হয়েছে। উল্লেখ্য, ওই এলাকা বহু ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও সাজানো শহর বলে জনপ্রিয়। সেখানে রুশ মিসাইল হামলায় পর পর দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকা জুড়ে রয়েছে বহু সরকারি দফতর। তারই মাঝে দেখা যাচ্ছে বহু জায়গায় বিস্ফোরণের পর যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে মৃতদেহ। কিয়েভের আপৎকালীন পরিষেবা দফতর জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা একাধিক। আহতের সংখ্যা ১২ জন। উল্লেখ্য, নতুন করে ক্রিমিয়া ব্রিজ ঘিরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাতের মাথা চাড়া দিতে থাকে।
স্ক্রিনে আচমকা এক মুখোশ! ইরানের লাইভ টিভি হ্যাক প্রতিবাদীদের, জ্বলছে দেশ
ক্রিমিয়া ব্রিজে সংঘাতে ছিন্ন হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমাগত ভয়াবহ হয়েছে। ক্রিমিয়া ও ঝাপোরঝিয়ায় সাম্প্রতিককালে ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু হতে থাকে। শনিবার রাত থেকে শুধুমাত্র ঝাপোরিঝিয়াতেই ছয়টি মিসাইল হানা হয়েছে। রাশিয়ার দখলে থাকা এই এলাকায় ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এদিকে, রাশিয়ার অন্দরে এক জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিত্বের মেয়ের খুনকে ঘিরে ইউক্রেন গুপ্তচরবাহিনীকে সন্জেহ করা হচ্ছে। সন্দেহ উঠে এসেছে আমেরিকার তরফেও। মনে করা হচ্ছে, রাশিয়ার অন্দরে প্রবেশ করে ইউক্রেন গুপ্তচরবাহিনী ক্রমেই টার্গেট করে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যুদ্ধের প্রতিশোধের চেষ্টায় রয়েছে।