মুম্বই-আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল প্রকল্পের এলিভেটেড করিডোরের ২০ শতংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোট ১০০টি এলিভেটেড করিডোর এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এছাড়াও ১৫০ কিমি রেলপথের কাজও এগিয়ে এই সময়ে। এর মধ্যে ১০০ কিমি রেলপথের কাজ এগিয়েছে গত ৬ মাসে। জানা গিয়েছে, রেলপথের কাজের ক্ষেত্রে 'ফুল স্প্যান লঞ্চিং টেকনিক' ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে ১০ গুণ দ্রুত কাজ করা যায় বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। এই প্রকল্পের রেলপথ ছ'টি নদীর ওপর দিয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে যে পর্যন্ত এলিভেটেড করিডোর তৈরি হয়েছে, সেখানে সেখানে 'নয়েজ ব্যারিয়ার' ইনস্টল করার কাজ শুরু হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এদিকে কনক্রিটের ট্র্যাক বিছানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে সুরাতে। (আরও পড়ুন: 'অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা...', ভারতে তৈরি তেজস যুদ্ধবিমানে চেপে আকাশে উড়লেন মোদী)
এর আগে গত অক্টোবরেই মুম্বই-আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল করিডোর প্রকল্পে বড় সাফল্যের কথা জানা গিয়েছিল। গুজরাটের ভালসাদে বুলেট ট্রেনের পথে প্রথম পর্বত সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছিল গত অক্টোবরে। এই টানেল দিয়েই হাই স্পিড বুলেট ট্রেনগুলি ঘণ্টয় ৩৫০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারবে বলে জানা যায়। ৩৫০ মিটার দীর্ঘ এই টানেলের ব্যাস ১২.৬ মিটার এবং উচ্চতা ১০.২৫ মিটার। এই হর্সশু আকৃতির টানেলে ২টি হাই স্পিড ট্রেন ট্র্যাক থাকবে।
আরও পড়ুন: আচমকাই ইউপিআই আইডি অচল হবে বহু মানুষের, পেমেন্ট অ্যাপগুলিকে নির্দেশ NPCI-এর
মুম্বই এবং আমেদাবাদের মধ্যে ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্র্যাকে আরও ৬টি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালেই মুম্বই থেকে আমেদাবাদ রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছিল। পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব কি না, তা খতিয়ে দেখার পর শেষ পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হয় তাতে। প্রকল্পের আনুমানিক খরচ তখন ধার্য করা হয়েছিল ১ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা। ৮ বছরে শেষ হওয়ার কথা ছিল সেই প্রকল্পের কাজ। অর্থাৎ, এই বছরই চাকা গড়ানোর কথা ছিল বুলেট ট্রেনের।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যেও 'বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল'? অন্ধ হচ্ছে বিমান! নির্দেশিকা জারি DGCA-র
তবে কেন এখনও শেষ হয়নি বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ? গত বাদল অধিবেশনের সময় সংসদে রেলমন্ত্রী জানান, জমি জটে আটকে ছিল বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, এই প্রকল্পের জন্য সিংহভাগ জমি অধিগ্রহণের কাজ হয়ে গিয়েছে। তবে মহারাষ্ট্রে এখনও কয়েকশো হেক্টর জমি অধিগ্রহণের কাজ থমকে ছিল। এই জমি জট কাটলেই প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন রেলমন্ত্রী।