স্বাধীনতা দিবসে লাকেল্লা থেকে ভাষণের সময় ‘জনঔষধি কেন্দ্র’ নিয়ে বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বর্তমানে দেশে ১০ হাজার জনঔষধি দোকান রয়েছে। তবে শীঘ্রই সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫ হাজার করা হবে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী। আজ মোদী জানান, জনঔষধি দোকান থেকে ন্যায্য মূল্যে ওষুধ কিনে মধ্যবিত্তের ২০ হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে। অর্থাৎ, সরকার এই ভর্তুকি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জানা যায়, ৫০টি স্টেশনে তৈরি হতে চলেছে জনঔষধি কেন্দ্র। পরে ধীরে-ধীরে অন্যান্য স্টেশনগুলিতে এই জনঔষধি কেন্দ্র গড়ে উঠবে। এছাড়াও বিভিন্ন শহরে ও অন্যান্য স্থানেও তৈরি করা হবে আরও মোট ১৫ হাজার জনঔষধি কেন্দ্র। দরপত্র ডাকা হবে। ই-নিলাম মারফত সেই জনঔষধি কেন্দ্র চালানোর লাইসেন্স পাওয়া যাবে। এই সব ওষুধে জেনেরিক ওষুধ অনেক সস্তায় মিলবে।
এদিকে আম জনতার জন্য জনমুখী প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরে আজ নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'এর আগে প্রতি রাজ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাঠানো হত। এখন সেই পরিমাণ ১ লাখ কোটি। গত পাঁচবছরে দেশের ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্র মুক্ত হয়েছে। এর জন্য তারা আবাস যোজনার সুবিধা পেয়েছেন।' আজ মোদী বলেন, 'দেশের সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মধ্যবিত্তে পরিণত হয়েছে। এর জন্য তারা আবাস যোজনার সুবিধা পেয়েছেন। ২ লাখ কোটি খরচ করে সবার ঘরে জল পাঠানোর চেষ্টা করেছি। আয়ুষ্মান ভারতে ৭০ হাজার কোটি খরচ করে দেশের জনগণের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা হয়েছে।'
মোদী বলন, 'আমি দেশের যুব সমাজকে বলতে চাই, এই দেশ আপনাদের আকাশপ্রমাণ সুযোগ দেবে। সুযোগের কোনও অভাব ভারতে হবে না। করোনার পর বিশ্বে নয়া গ্লোবাল অর্ডার তৈরি হয়েছে। ভারত গ্লোবাল সাউথের মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বল এখন আমাদের কোর্টে। এখন এই সুযোগ আমাদের ছাড়লে হবে না।' মোদী আরও বলেন, 'মা ভারতী আবার জেগে উঠেছেন। বিগত ৯-১০ বছরে আমি অনুভব করেছি। গোটা বিশ্ব ভারতের ওপর বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। ভারতের জ্যোতি দেখতে পাচ্ছে বিশ্ব। আমাদের সৌভাগ্য, আমাদের কাছে জনসংখ্যা, বৈচিত্র্য, গণতন্ত্র আছে। এই ত্রিবেণী ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।'