ফ্রান্স সফরকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার ৯৯ বছরের এক যোগাসন প্রশিক্ষকের সাথে দেখা করেন। প্রাচীন ভারতীয় অনুশীলন যোগাসনের প্রতি তাঁর আবেগ এবং ফ্রান্সে এর প্রচারের জন্য বিখ্যাত ফরাসি যোগ প্রশিক্ষকের প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী মোদী শুক্রবার বাস্তিল দিবসের প্যারেডে সম্মানিত অতিথি হিসাবে যোগদান করেন। প্রধানমন্ত্রী যোগাসন শিক্ষিকার কথা প্রসঙ্গে টুইট করেন, ‘প্যারিসে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব শার্লট চোপিনের সাথে দেখা করার সুযোগ হয়েছে আমার। তিনি ৫০ বছর বয়সে যোগ অনুশীলন শুরু করেছিলেন। তিনি শীঘ্রই একশো বছরে পা দিতে চলেছেন, কিন্তু যোগব্যায়াম এবং ফিটনেসের প্রতি তার নিষ্ঠা শেষ কয়েক বছর ধরে বেড়ে গিয়েছে’ এমন টুইট করে শার্লট চোপিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় মোদী।
যোগাসনে চোপিনের গভীর বিশ্বাস এবং ফ্রান্সে যোগের প্রচারে তার যুগান্তকারী কাজের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনই জানানো হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে।
যোগাসনের প্রতি মোদীর ভালোবাসা, আবেগ দেশ-বিদেশের সকলেই জানেন। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টার কারণেই ২০১৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার ইউরোপের মাটি অশীতিপর বৃদ্ধার যোগ অনুশীলন দেখে মুগ্ধ হলেন নরেন্দ্র মোদী।
কীভাবে যোগব্যায়াম জীবনে সুখ-শান্তি আনতে পারে এবং সামগ্রিক উন্নতি ঘটাতে পারে, সে সম্পর্কে তার মতামত শেয়ার করেছেন চোপিন। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনের কারণে যোগব্যায়ামের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির বিষয়েও মোদী ও চোপিন পরস্পরের মধ্যে মতবিনিময় করেন। এই বছরের ২১ জুন নরেন্দ্র মোদী নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে একটি উচ্চ-স্তরের যোগ সেশনের নেতৃত্ব দেন। সার্বিক ভাবেই বিশ্বের নানান প্রান্তে যোগাসনের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে, একথা স্বীকার না করে উপায় নেই।
নরেন্দ্র মোদী ফ্রান্স সফরকালে ভারতের অগ্রগতির কথ তুলে ধরেছেন আলোচনা, ইন্টারভিউগুলির মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘কয়েক হাজার বছর প্রাচীন সভ্যতা ভারতের। আজ বিশ্বের অন্যতম যুবশক্তির দেশ ভারত। আর আমাদের দেশের সবথেকে বড় সম্পদই হল যুবশক্তি। যখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশই বয়স্ক হচ্ছে এবং তাদের জনসংখ্যা কমছে, সেখানেই আগামী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতের দক্ষ যুবশক্তি সম্পদ হয়ে উঠবে।’ যোগাসন থেকে চন্দ্রযান, প্রাচীন অভ্যাস রীতি হোক কিংবা আধুনিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে, সর্বত্রই এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। এমন সময় মোদীর ফ্রান্স সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।