বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > NASA: ভিনগ্রহে কি প্রাণ আছে? কেমন দেখতে ওদের? নাসার টেলিস্কোপে বড় ইঙ্গিত! চমকে দেবে বিশ্বকে

NASA: ভিনগ্রহে কি প্রাণ আছে? কেমন দেখতে ওদের? নাসার টেলিস্কোপে বড় ইঙ্গিত! চমকে দেবে বিশ্বকে

ভিনগ্রহে কি প্রাণ আছে? প্রতীকী ছবি। পিক্সাবে। 

১২০ অলোকবর্ষ দূরের ওই গ্রহতে প্রাণ আছে কি না সেব্যাপারে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায়নি। তবে এজন্য আরও পরীক্ষা, আরও নিরন্তর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। 

পৃথিবী ছাড়া মহাবিশ্বের অন্য কোথাও কি প্রাণের সাড়া আছে? বছরের পর বছর ধরে মানুষ এই অজানাকে জানার চেষ্টা করছে। তবে সূত্রের খবর, নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে এমন কিছু ইঙ্গিত যা চমকে দিতে পারে। বহু দূরের K2-18b এক্সোপ্ল্য়ানেট সেখানে কি প্রাণের সন্ধান রয়েছে? বিবিসি নিউজ সূত্রে খবর, টেলিস্কোপে সম্ভবত এমন মলিকিউল ধরা পড়েছে যেটা ডাইমিথাইল সালফাইড নামে পরিচিত। এটা থেকে প্রাণের উৎপত্তি হতে পারে। মিন্টের প্রতিবেদন অনুসারে এটা জানা গিয়েছে।

১২০ অলোকবর্ষ দূরের ওই গ্রহতে প্রাণ আছে কি না সেব্যাপারে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায়নি। তবে এজন্য আরও পরীক্ষা, আরও নিরন্তর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীর ওই গ্রহের চারপাশে মিথেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের সন্ধান পাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ভিন গ্রহের প্রাণ শুধু আজ কল্পবিজ্ঞানের বিষয় নয়, হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এনিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।

এখানেই শেষ নয়, দূরের কোনও গ্রহতে জলের সমুদ্র থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে এনিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। সবটাই গবেষণা করে দেখা হচ্ছে। ভিন গ্রহে প্রাণ আছেই বলে কোনওভাবেই বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করে কিছু জানাননি। শুধু যে উপাদানের ইঙ্গিত মিলছে সেগুলিকে যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

প্রফেসর নিক্কু মধুসূদন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর। তিনি ওই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই পৃথিবীতে একমাত্র জীবিত বস্তুই ডিএমএস নির্গত করতে পারে। মূলত সমুদ্রে যে ফাইটো প্ল্যাঙ্কটন বা উদ্ভিদ থাকে সেখান থেকে এই ডিএমএস নির্গত হয়। তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এই ভিনগ্রহ থেকে ডিএমএস নির্গত হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত সম্ভাব্য বিষয়। এনিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। এটা কিছুটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য় এখনও ১ বছর সময় লাগতে পারে।

তবে এর আগেও ২০২০ সালে ভেনাসের ক্লাউডে ফসফাইন মিলেছে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু পরে সেটার কোনও ভিত্তি মেলেনি। এবার বহু দূরের তারায় ডিএমএস মিলছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সেটা বাস্তবে কতটা সত্যি সেটা সময়ই বলবে। সবটাই বিজ্ঞানীদের গবেষণার উপর নির্ভর করছে।

বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, লন্ডনের রয়াল অ্যাস্ট্রোনমিকাল সোসাইটির ডেপুটি ডিরেক্টর ডঃ রবার্ট মাসে জানিয়েছেন, আমরা ধীরে ধীরে এই প্রশ্নের উত্তর পেতে পারি এই মহাবিশ্বে আমরা কি একলা নাকি আরও প্রাণ আছে?

 

বন্ধ করুন