রাশিয়ান কসমোনাটকে নিয়ে স্পেস এক্স ক্রিউ ড্রাগন টিমের ৪ সদস্য নিরাপদে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে অবতরণ করেছেন। সপ্তাহের মাঝখান থেকেই তাঁরা চারমাসের বিজ্ঞান সম্পর্কিত মিশনে যোগ দিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁদের ছবি ভাইরাল। তাঁদের আপলোড করা ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে।
সময় লেগেছে ২৯ ঘণ্টা। আর তারপর এই টিম নিরাপদে পৌঁছে গিয়েছে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। নাসার ওয়েবকাস্টের তথ্য অনুযায়ী দুটি যানে করে এই মহাকাশচারীরা ভূপৃষ্ট থেকে ২৫০ মাইল দূরে পৌঁছেছেন। অটোনমাসভাবে দৌড়ায় ক্রিউ ড্রাগন ক্যাপসুল। বুধবারই স্পেস এক্স ফ্যালকন ৯ রকেটটি উৎক্ষেপণ হয়। ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এই রকেট উৎক্ষেপণ হয়। ক্রিউতে রয়েছেন দুজন মার্কিন মহাকাশচারী। ৪৫ বছরের নিকোল অনাপু মান, ৪৯ বছর বয়সী পাইলট যশ ক্যাসাডা গিয়েছেন সেই টিমের অঙ্গ হয়েয ৫৯ বছর বয়সী জাপানি মহাকাশচারী কোইচি ওয়াকাতাও গিয়েছেন সেখানে। এছাড়া ৩৮ বছর বয়সী অ্যানা কিকিনা গিয়েছেন টিমের সঙ্গে। সেই টিমে তিনি কসমোনট হিসাবে রয়েছেন। উল্লেখ্য, কোনও রাশিয়ান হিসাবে গত ২০ বছরে আমেরিকার কোনও স্পেস ক্রাফ্টে তিনিই প্রথম।
এই গোটা টিমে একমাত্র মহিলা কসমোনট হলেন কিকিনা। তিনি বহুদিন ধরে রাশিয়ান স্পেস এজেন্সি রসকোমসের সঙ্গে যুক্ত। উল্লেখ্য, মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যেভাবে সংঘাতের পরিস্থিতি মাথা চাড়া দিচ্ছে, সেই জায়গা থেকে রাশিয়ান কসমোনটের মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানের খোঁজের অভিযানে অংশ নেওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে বড় বিষয়। বিশেষত ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ ঘিরে যেভাবে আমেরিকা রাশিয়া বিরোধিতায় আরও উঠে পড়ে লেগেছে, সেই জায়গা থেকে এই বিজ্ঞানের আঙিনায় পরিস্থিতি বেশ উল্লেখযোগ্য। প্রসঙ্গত, সামনেই রয়েছে নাসার আর্টেমিস মিশন। সেখানে ১৮ জন মহাকাশচারীকে বাছাই করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম নিকোল অনাপু মান। যিনি এই স্পেস এক্সের সফরে রয়েছেন।