ফের সামনে ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলা। এবার সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর কাছে এই মামলায় সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ৮ জুন তাঁদের তলব করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য করা হচ্ছে। আমরা এর মুখোমুখি হব। যেখানে টাকাই নেই, সেখানে আবার আর্থিক প্রতারণার মামলা। তিনি বলেন, সোনিয়া জি অবশ্যই যাবেন। কিন্তু রাহুলজী বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। তিনি সময় চাইছেন।
কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, আমরা মাথা ঝোঁকাবো না, ভয় পাব না। ব্রিটিশকে ভয় পায়নি কংগ্রেস আর ইডির নোটিশ সোনিয়াজি, রাহুলজি, কংগ্রেসের সাহসকে ভেঙে দেবে?
প্রথমে দেখা যাক এই ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলাটা আসলে কী? ১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহেরু সহ অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা একটি সংবাদপত্রের জন্ম দিয়েছিলেন। আর সেটির নাম রাখা হয়েছিল ন্যাশানাল হেরাল্ড। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই কাগজই কার্যত কংগ্রেসের মুখপত্র হয়ে ওঠে। ২০০৮ সালে প্রায় ৯০ কোটি টাকা দেনার জেরে বন্ধ হয়ে যায় এই সংবাদপত্র। ২০১২ সালে বিজেপি নেতা সুব্রমণিয়ম স্বামী আদালতের অভিযোগ করেন, কিছু কংগ্রেস নেতা ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের নাম করে ন্য়াশানাল হেরাল্ডের সম্পত্তি কুক্ষিগত করছেন। প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ রয়েছে এই মামলায়।
সূত্রের খবর, এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট ন্যাশানাল হেরাল্ডের আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত মামলার নানা দিক খতিয়ে দেখছে। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুড়া, প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরা। জমি সংক্রান্ত নানা অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে এই মামলায়।
ইতিমধ্যেই ২০২০ সালে ইডি ১৬.৩৮ কোটি টাকা মূল্যের একটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এদিকে বিজেপি নেতা সুব্রমণিয়ম স্বামী কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি হাই কোর্ট এনিয়ে সোনিয়া ও রাহুলের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছিল। তবে তাঁদের তরফে দিল্লি হাইকোর্টে জানানো হয়েছিল যে আবেদন বিজেপি নেতা সুব্রমণিয়ম স্বামী জানিয়েছেন তা ঠিক নয়।
রবিবার কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, বিজেপি সবাইকে দাবিয়ে রাখতে চাইছে। তাদের বিরুদ্ধে একজোট হতে হবে। এদিকে খাড়গে ঘনিষ্ঠ এক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, ইয়ং ইন্ডিয়ানের কিছু নথি জমা দেওয়ার জন্য অস্কার ফার্নান্ডেজকে ইডি জানিয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পরে ইংয় ইন্ডিয়ানের তরফ থেকে খাড়গেকে ইয়ং ইন্ডিয়ানের ডিরেক্টর হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।