শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যসভার উপ-নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার জেরে আসনসংখ্যার ভিত্তিতে বিরোধীদের সঙ্গে পার্থক্য চওড়া করল কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট।
রাজ্য সভায় মোট ২৪৫টি আসনের মধ্যে প্রায় ১০০টি আপাতত এনডিএ-র দখলে রয়েছে। এ ছাড়া এআইএডিএমকে (৯টি), বিজেডি (৯টি), ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির (৬টি) আসন যোগ করলে এবং কিছু ক্ষুদ্র দল এবং শরিকদল মনোনীত জয়ী প্রার্থীদের ধরলে রাজ্য সভায় সংখ্যাভিত্তিক কোনও বাধার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা নেই শাসকজোটের।
রাজ্য সভায় শক্তিবৃদ্ধির উদ্দেশে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের শিবিরে ঠাঁই দিয়েছে বিজেপি। এর আগে, ২০১৪-২০১৯ পর্বে প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে সংসদের উচ্চকক্ষে যে কোনও বিল পাশ করাতে গিয়ে বিরোধীদের বাধায় হোঁচট খেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় শাসকজোটকে।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে রাজ্য সভার ৫৫ টি আসনে উপ-নির্বাচন ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীকালে আসনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬১। করোনাভাইরাস অতিমারীর জেরে তা পিছিয়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার উপনির্বাচন আয়োজিত হয়। ৪২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিরোধে নির্বাচিত হওয়ার পরে মোট ১৯টি আসনের জন্য উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রকাশিত ফলে সম্ভাবনার চেয়ে আরও দুইটি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এর পিছনে গুজরাত ও মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস সরকার পতন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পর্বের উপ-নির্বাচনে ৮টি আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী এবং ৪টি করে আসন পেয়েছে কংগ্রেস ও ওয়াই এস আর কংগ্রেস।
সব মিলিয়ে বিজেপি ১৭টি আসন জিতেছে, কংগ্রেস ৯টি, নীতীশ কুমারের জেডিইউ ৩টি, বিজেডি ও তৃণমূল দুই দলই ৪টি করে, এআইএডিএমকে ও ডিএমকে প্রত্যেকে ৩টি করে, এনসিপি, আরজেডি ও টিআরএস প্রত্যেকে ২টি করে এবং অন্যান্যদের দখলে গিয়েছে বাকি আসনগুলি।