বুথ দখল করা, ছাপ্পা ভোট এসব কড়া হাতে দমন করতে হবে। শুক্রবার একথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৮৯ সালে নভেম্বর মাসে ঝাড়খন্ডে লোকসভা ভোটের আগে বুথের বাইরে বন্দুক নিয়ে ঝামেলায় অভিযুক্ত আটজনকে সাজা ঘোষণা প্রসঙ্গে একথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জাস্টিস ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও এমআর শাহ বলেন, 'নির্বাচনী ব্যবস্থার মূল সুরটি হল যাতে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন। বুথ দখল করা, ছাপ্পা ভোট দেওয়ার মতো বিষয়গুলিকে কড়া হাতে দমন করতে হবে। কারণ এটা শেষ পর্যন্ত দেশের গণতন্ত্র ও আইন ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।' আদালত ঝাড়খন্ডের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। অভিযোগ তারা সেই সময় বিজেপির এক কর্মীর কাছ থেকে ভোটার স্লিপ ছিনতাই করার চেষ্টা করেছিল। না দেওয়ায় মারধর করা হয়। পাশাপাশি সেই সময় ছররা গুলি ছোঁড়ে তারা।
এই ঘটনার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি জানিয়েছেন অবাধ নির্বাচনের অধিকারকে যারা বিঘ্নিত করবে তাদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে গোপনীয়তা বজায় রাখা ভীষণভাবে প্রয়োজন। নির্ভয়ে যাতে কোনও ভোটার ভোট দেন সেটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। গোপন ভোট যদি প্রকাশ্যে এসে যায় তবে তিনি ভয় পেতে পারেন।এক্ষেত্রে সজাগ থাকা প্রয়োজন।
ট