বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > NEET Success 2023: ডাক্তারি পড়ছেন দিদি, পূর্ব মেদিনীপুরের যমজ ভাইও সফল নিট পরীক্ষায়, রহস্যটা জানুন

NEET Success 2023: ডাক্তারি পড়ছেন দিদি, পূর্ব মেদিনীপুরের যমজ ভাইও সফল নিট পরীক্ষায়, রহস্যটা জানুন

নিট পরীক্ষায় সফল পূর্ব মেদিনীপুরের দুই যমজ ভাই । প্রতীকী ছবি। (HT_PRINT)

তাদের দিদি শ্রীজিতাও হায়দরাবাদের একটি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ছেন। একই পরিবারে এবার তিনজন ডাক্তার হওয়ার পথে। গর্বিত তাদের বাবা মা।

নিট পরীক্ষায় সফল পূর্ব মেদিনীপুরের দুই যমজ ভাই। কাশ্মীরেও সম্প্রতি ইমামের দুই যমজ কন্য়া নিটে অত্যন্ত ভালো ফলাফল করেছিলেন। এবার তেমনই ছবি দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরে। এক ভাইয়ের নাম চয়ন হুদাইত ও অপর ভাইয়ের নাম সায়ন হুদাইত। দুজনেই যমজ ভাই। একসঙ্গেই বেড়ে ওঠা দুজনের। একেবারে অভিন্ন হৃদয় তারা। তাদের এই সাফল্যে শুধু তাদের পরিবার নয়, গোটা এলাকা খুশিতে ভাসছে।

সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে চয়নের স্থান ৬৭৯ ও সায়নের স্থান ৩৯৪৬। চয়ন পেয়েছেন ৭২০ নম্বরের মধ্য়ে ৬৯০ ও সায়ন পেয়েছেন ৬৬৪ নম্বর পেয়েছেন।

দুই ভাই ছোট বেলা থেকে পড়াশোনায় ভালো ছিলেন। এর সঙ্গেই তাদের বাবা মা ছোট বেলা থেকে শিখিয়েছিলেন জীবনে বড় কিছু হতে গেলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ফাঁকিবাজিতে কিছু হয় না। আর বাবা মায়ের এই কথা একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলত দুই ভাই। নিজেদের লক্ষ্য়ের দিকে এগোনর কাজ শুরু করেন তারা।

তবে তাদের দিদি শ্রীজিতাও হায়দরাবাদের একটি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ছেন। একই পরিবারে এবার তিনজন ডাক্তার হওয়ার পথে। গর্বিত তাদের বাবা মা। গর্বিত তাদের পাড়া প্রতিবেশীরা। পূর্ব মেদিনীপুরের এই পরিবার এখন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার।

তাদের বাবা -মা দুজনেই কর্মরত। বাবা চন্দন হুদাইত বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার। আর মা সুদেষ্ণা হুদাইত তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের সিনিয়র নার্স। আর মায়ের এই পেশাটাই দুই সন্তানের আগামী দিনের এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে বার বার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। মাকে দেখেই তারা অনুপ্রাণিত হতেন কীভাবে আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়া যায়।

ছোটবেলা থেকেই তারা মহিষাদলের দিশারি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করতেন। এরপর তারা রাজস্থানের সিবিএসই বোর্ডের স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু ডাক্তার হওয়ার জন্য লক্ষ্য স্থির করেছিলেন তারা। চিকিৎসক হওয়ার জন্য তারা লক্ষ্য স্থির করে এগোতে থাকেন। এরপর শুরু হয় কঠিন পরিশ্রম। আর তার ফলও তারা পেয়েছেন হাতে নাতে।

আসলে পরিশ্রম করলে তার ফলও যে হাতে নাতে মিলবে এটাই যেন করে দেখিয়েছেন তারা। আসলে ফাঁকিবাজির মাধ্যমে যে সাফল্য আসবে না এটা বুঝে গিয়েছিলেন সায়ন-চয়নরা। এভাবেই শিক্ষা দিতেন তাদের বাবা মায়েরা। সেই অনুসারে এগিয়ে চলা। আর সেই পরিশ্রমের ফল তারা পেলেন হাতে নাতে।

 

 

বন্ধ করুন