বন্যা রোধে বাঁধ সারাইয়ের কাজে বাধা দিচ্ছে নেপাল, ফাঁপরে বিহার সরকার
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 22 Jun 2020, 09:24 PM ISTকেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখেছেন বিহারের জলসম্পদ মন্ত্রী।
কেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখেছেন বিহারের জলসম্পদ মন্ত্রী।
নেপালের সঙ্গে হাল আমলে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। এবার তার প্রভাব গিয়ে পড়ল উন্নয়নমূলক কাজেও। সামনেই বর্ষাকাল। তার আগেই প্রতি বছরের মতো নদী বাঁধগুলিতে সারাইয়ের কাজ করে নেয় রাজ্য সরকারগুলি। কিন্তু বিহার সরকারকে সেই রুটিন কাজে সাহায্য করছে না নেপাল। চিন্তায় পড়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখেছে নীতিশ প্রশাসন।
লাল বাকেয়া নদীর ক্ষেত্রে বাঁধ বানানোর অবশিষ্ট কাজ ও গণ্ডক ব্যারেজে বন্যা প্রতিরোধে যে সারাইয়ের কাজ প্রয়োজন, সেটা করতে দিচ্ছে না নেপাল। প্রতি বছরই, ভরা বর্ষায় নেপাল থেকে নদীর জল এসে বিহার নিমজ্জিত করে দেয়। সেই জন্যেই নেপাল থেকে আগত নদীর ক্ষেত্রে নদীবাঁধ সারিয়ে রাখে প্রশাসন। এবার অবশ্য নেপাল সরকার সেই অনুমতি দিচ্ছে না।
বিহারের জলসম্পদ মন্ত্রী সোমবার এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রক ও কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন। তিনি জানিয়েছেন গণ্ডক ব্যারেজে ভারতীয় দিকে ১৮টি গেট আছে, নেপালের দিকে ১৮টি। অতীতে অনুমতি মিললেও এবার নেপালের দিকে গেটে মেনটেনেন্সের কাজ করতে দিচ্ছে না নেপাল সরকার।
বেশি বৃষ্টি পড়লেই নদী বাঁধে ফাটল ধরতে পারে বলেই তাঁর আশঙ্কা। কিন্তু সারাইয়ের কাজ করতে দিচ্ছে না নেপাল। একই ভাবে লাল বাকেয়া নদীতেও কাজ করার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছে নেপাল, যেটা গত ৩০ বছরে প্রথম।
তবে একই ভাবে নেপালিদের লাল বাকেয়া নদীর বাঁদিকে বাঁধ সারাতে দিচ্ছে না ভারতের এসএসবি। তারা জানিয়েছে যে এই প্রসঙ্গে এখনও কোনও সরকারি নির্দেশ আসেনি। দুই দেশের এই আকচাআকচিতে আম আদমি যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা বলাই বাহুল্য।