২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ৭ অক্টোবরের মধ্যে সেই নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া বা বদলে নেওয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও যারা এই নোট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাতিল করেননি তাঁরা কী করবেন? তবে তাদের সুযোগ একেবারে হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে এমনটা কিন্তু নয়। প্রসঙ্গত ১৯ মে আরবিআই নির্দেশ দিয়েছিল তারা বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নিচ্ছে। কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় এই ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ১৯টি সেন্টারে এই নোট জমা দেওয়া যাবে। আরবিআইয়ের ইস্যু অফিসে জমা দেওয়া যাবে আপনার ২০০০ টাকার নোট।
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ১৯টি অফিসে এই নোট জমা দেওয়া যাবে। গত মে মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ ব্যাঙ্ক নোট প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছিল। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার বা বদলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নোট জমা দেওয়ার সময়সীমা ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও এখনও যারা নোট জমা দেননি তারা কী করবেন?
তাদের জন্যও সুযোগ রয়েছে। তবে তাদের জন্য আরবিআই ইস্যু অফিস খোলা থাকছে। তবে ব্যাঙ্কের শাখায় এই ডিপোসিট করা যাবে না। কিন্তু আপনি যদি সরাসরি আরবিআইয়ের ইস্যু অফিসে যেতে না পারেন তাহলে কী হবে? এক্ষেত্রে ভারতীয় ডাকবিভাগের মাধ্যমে আপনি আরবিআইয়ের ইস্যু অফিসে পাঠাতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য় আপনাকে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আরবিআই ইস্যু অফিস থেকে আপনি আগে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিন।
এবার প্রশ্ন সিবিআই বা ইডি বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। সেখানে তল্লাশি চালাতে গিয়ে যদি ২০০০ টাকার নোট ধরা পড়ে তবে কী হবে? তবে সিবিআই-ইডি প্রয়োজনে সেই বাজেয়াপ্ত হওয়া ২০০০ টাকার নোট জমা করতে পারে আরবিআইয়ের ইস্যু অফিসে।