দিল্লির বায়ু ও পানীয় জল দূষণের ফলে মানুষের আয়ু এমনিতেই কমেছে। তার উপরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নীতি অর্থহীন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমনই যুক্তির ভিত্তিতে ফাঁসির সাজা রদ করার আবেদন জানিয়েছে নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যামামলায় দণ্ডিত আসামি অক্ষয় সিং ঠাকুর।
শাস্তি ঘোষণার পরে এই প্রথম সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী মারফত তার প্রাণদণ্ড পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছে নির্ভয়া মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া অক্ষয়। সেই আবেদনেই দিল্লির মাত্রাতিরিক্ত দূষণের প্রসঙ্গ তুলেছে আসামি। আবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, অপরাধের সময় সে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। পাশাপাশি, বহু দেশে মৃত্যুদণ্ড প্রথা রদ হয়ে গিয়েছে বলেও আবেদনে জানিয়েছে অক্ষয়।
মৃত্যুদণ্ড খারিজের আবেদনে আসামির তরফে আরও বলা হয়েছে যে, ‘সত্যযুগে’ মানুষের গড় আয়ু ছিল এক হাজার বছর। কিন্তু বর্তমান ‘কলিযুগে’ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০-৬০ বছরে। সেই কারণ দর্শিয়েও মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন জানানো হয়েছে।
আবেদনে অযাচিতই এসেছে দিল্লির দূষণ প্রসঙ্গ। বলা হয়েছে, ‘দিল্লির এনসিআর ও মেট্রো সিটির বাতাসের মান গ্যাস চেম্বারের সমতুল। এনসির ও মেট্রো সিটির পানীয় জলেও বিষ ভরতি। সকলেই জানেন এখানে বাতাস ও জলের কী অবস্থা।’
এর পরেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘জীবন ক্রমেই ছোট থেকে আরও ছোট হয়ে যাচ্ছে, তাহলে মৃত্যুদণ্ড কেন?’
দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী চার আসামির মৃত্যুদণ্ড খারিজের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে নাকচ হয়ে গিয়েছে। ক্ষমাভিক্ষার আর্জি খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দও। সম্প্রতি চার বন্দিকেই তিহাড় জেলে নিয়ে আসা হয়েছে।
সূত্রে খবর, বক্সার জেল থেকে তিহাড়ে আনানো হয়েছে ১০টি ফাঁসির দড়ি। অন্য জেল থেকে ফাঁসুড়ে আনার প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ হয়েছে সম্প্রতি। শোনা যাচ্ছে, তিহাড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ফাঁসির মহড়াও। চূড়ান্ত নির্দেশ পেলেই নির্ভয়া মামলায় দোষী ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।