নিঠারি হত্যা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন প্রধান অভিযুক্ত সুরিন্দর কোলি ও তার সহ অভিযুক্ত মনিন্দর সিং পান্ধার। গত অক্টোবর মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই মামলার রায় দেয়। এই আবহে জানা যাচ্ছে, সুরিন্দর কোলিকে মুক্তি দেওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করতে পারে সিবিআই। তবে সেই মামলায় অপর অভিযুক্ত মনিন্দর সিংকে খালাস দেওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ করবে না সিবিআই। এর আগে ১২টি মামলায় সুরিন্দর কোলি এবং মনিন্দরকে বেকসুর খালাস করেন এলাহাবাদ উচ্চ আদালতের বিচারপতি অশ্বিনী কুমার মিশ্র ও বিচারপতি সৈয়দ আফতাব হুসেন রিজভি। আদালতের মতে, তাদের বিরুদ্ধে যথার্থ তথ্য়প্রমাণ হাজির করা যায়নি। এই আবহে তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় খারিজ করে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। (আরও পড়ুন: 'নিজ্জর খুনে ভারতের নাম জড়াতে নির্দেশ ওপর মহলের', বিস্ফোরক দাবি হাইকমিশনারের)
এদিকে কোন প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হবে? তা নিয়ে সিবিআই ছক কষছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ ছিল, ২০০৫-০৬ সালের মধ্য়ে একাধিক মেয়েকে খুন ও ধর্ষণ করেছিল কোলি। ২০০৬ সালে নিঠারি ভিলেজের একটি নিকাশি নালায় কিছু কঙ্কাল মেলে। পরে কোলি পুলিশের কাছে জানায় কাছের জমিতে খুঁড়লে আরও দেহ মিলবে। এরপর সিবিআইয়ের কাছে তদন্তভার যায়। সুরিন্দরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। সিবিআই জানিয়েছে, মনিন্দরের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র একটি মামলায় পাচারের অভিযোগ করেছিল সিবিআই। তার বিরুদ্ধে সেভাবে কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই আবহে মনিন্দরের মুক্তির বিরুদ্ধে তারা চ্যালেঞ্জ জানাবে না। তবে সুরিন্দর কোলির মুক্তির বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে।
জানা যায়, মনিন্দর সিংয়ের বাড়িতে গৃহ সহায়ক হিসাবে কাজ করত সুরিন্দর কোলি। তারা নয়ডার বাড়িতে শিশু ও মহিলাদের ধর্ষণ করে খুন করে দেহ লোপাট করত বলে অভিযোগ। নয়ডায় নিঠারিতে তাদের মনিন্দরের বাড়ির কাছেই বাংলা ও বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকরা থাকতেন। তাদের শিশুদেরই অপহরণ করা হয়েছিল। তবে এই মামলায় সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে উচ্চ আদালত। রায়ে আদালত জানিয়েছে, মানব দেহের অঙ্গ নিয়ে ব্যবসা করার ছক রয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছিল তা প্রমাণ করা যায়নি। তবে সিবিআই-এর তরফে বলা হচ্ছে, 'শিশু ও নারী হত্যার সঙ্গে যে কোলি জড়িত ছিল, তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আমাদের তদন্তকারীরা এবং আইনি দল হাই কোর্টের রায় পড়ে দেখছে।' উল্লেখ্য, ১৭ অক্টোবর এলাহাবাদ হাই কোর্ট কোলিকে মুক্তি দেওয়ার রায়দান করেছিল। এই আবহে সেদিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সিবিআই-কে চ্যালেঞ্জ করতে হবে সেই রায়।