বিজয় স্বরূপ
কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরির ব্যাপারে প্রথম থেকে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার। কয়েকবার মিটিংও হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের। তবে এতসব কিছুর পরে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কিছুটা হলেও হতাশ নীতীশ কুমার। তিনি জানিয়েছেন, বিরাট কিছু হয়ে গিয়েছে এমনটা নয়।
এদিকে বিহারের রাজধানী পাটনায় বিজেপি ভাগাও দেশ বাঁচাও মিছিল করেছিল সিপিআই। এদিকে নীতীশের দাবি, কংগ্রেসের এই জোট নিয়ে বিশেষ কোনও আগ্রহ নেই।
নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, যে দল দেশের ইতিহাসকে বদলে দিতে চাইছে সেই দলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য় আমরা বিভিন্ন দলের কাছে আবেদন করেছি। পাটনাতেও মিটিং হয়েছে। ইন্ডিয়া জোটও তৈরি হয়েছে। কিন্তু এর বেশি কিছু হয়নি। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে। কংগ্রেস এখন সেসব নিয়ে বেশি চিন্তায় রয়েছে। কংগ্রেসকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য় আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। কিন্তু এসব নিয়ে কংগ্রেসের কোনও উদ্বেগই নেই। আর পাঁচ রাজ্যের ভোটের পরে ফের আমাদের দরকার পড়বে।
নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, যা হওয়ার হতে দিন। কিন্তু আমরা সবটা করছি এই দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য। যারা ক্ষমতায় রয়েছে তাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।সিপিআইয়ের সঙ্গে আমাদের একটা পুরানো সম্পর্ক রয়েছে। কমিউনিস্ট আর সোস্যালিস্টদের একসঙ্গে পথচলা দরকার।
সিপিআইয়ের জেনারেল সেক্রেটারি ডি রাজা জানিয়েছেন, আমাদের সবার লক্ষ্য হল বিজেপিকে পরাজিত করা। কিন্তু সব দলেরই আলাদা স্বপ্ন রয়েছে, উচ্চাকাঙ্খা রয়েছে। বিজেপি গোটা দেশকে শেষ করে দিচ্ছে।
এদিকে মধ্য়প্রদেশ ভোটে জেডিইউ আলাদা করে ভোটে প্রার্থী দিয়েছে। আসলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায়। তারপরই এনিয়ে ভোটে আলাদা করে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করে জেডিইউ। মধ্য়প্রদেশ ভোটে সমাজবাদী পার্টি আলাদা করে ৪৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে চেয়েছিলেন। এরপর বলা হয় জোট শুধু জাতীয় স্তরেই হবে। রাজ্যস্তরে এই জোট কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।