নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির ক্ষেত্রে লাগাম টেনেছিল ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশন। এবার সেই নোটিফিকেশন স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি লিখেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্য়মন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।
এনএমসির সেই নোটিফিকেশন ২০২৩-২৪ থেকে কার্যকরী হচ্ছে। সেই নোটিফিকেশে বলা হয়েছে ১০ লাখ জনসংখ্যা পিছু ১০০টি এমবিবিএস আসন থাকবে। নতুন মেডিক্যাল কলেজ সেগুলিই অনুমোদন দেওয়া হবে যেগুলিতে বাৎসরিক ধারণক্ষমতা হবে ৫০,১০০ অথবা ১৫০।
মুখ্য়মন্ত্রী স্ট্যালিন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এভাবে রাজ্যের কাজে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। যে সমস্ত রাজ্য জনস্বাস্থ্যটাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় তাদেরকেই এভাবে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
তামিলনাড়ুর মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা একেবারে তৃণমূলস্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চেন্নাইয়ের স্বাস্থ্য পরিষেবা শুধু তামিলনাড়ুর জন্য নয়, গোটা দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এর নাম রয়েছে। আর সেই সঙ্গেই আগামী দিনে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও উন্নত করার জন্য় আরও চিকিৎসকের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আরও চিকিৎসক তৈরি করা দরকার। কিন্তু জনসংখ্যা ও চিকিৎসকের মধ্যে অনুপাতের যে কথা বলেছে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশন তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে তামিলনাড়ু সরকারের।
মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, এনএমসি যে ধরনের অনুপাতের কথা বলছে সেটা ঠিক নয়। কারণ জেলাস্তরে যথেষ্ট চিকিৎসক নেই। সেক্ষেত্রে এই অনুপাতে চিকিৎসক তৈরি করা হলে স্বাস্থ্য় ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। সেকারণে এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্য়মন্ত্রী।
তামিলনাড়ুতে সব মিলিয়ে ৭৪টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। তার মধ্য়ে একাধিক বেসরকারি মেডিক্য়াল কলেজ রয়েছে। সেগুলি মূলত রাজনীতিবিদদের মালিকানাধীন। প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিক্যাল কলেজ রাখার ব্যাপারে পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। কিন্তু এনএমসি যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে সব হিসেব ওলটপালট হয়ে যেতে পারে। তবে এবার কেন্দ্রীয় সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার। কারণ তামিলনাড়ুর দাবি এভাবে লাগাম টেনে দিলে তো ডাক্তারই পাওয়া যাবে না ভবিষ্যতে