মহাঅষ্ঠমীর দিনই বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল কেন্দ্র। সেনাবাহিনীর ক্যান্টিনে এবার নিষিদ্ধ হওয়ার পথে মদ–সহ সব বিদেশি দ্রব্য। এই খবর জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স।
সারা দেশে প্রায় ৪ হাজার সেনা ক্যানটিন রয়েছে। প্রত্যেক শাখাকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে অবিলম্বে বিদেশি দ্রব্যের সরবরাহ বন্ধ করার জন্যে। প্রতিটি সেনা ক্যান্টিনে মদ থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক দ্রব্য এবং অন্যান্য নানা প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি হয় কম দামে। সেখানে কোপ পড়ল এবার। খরচে রাশ টানতেই এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন সেনাবাহিনীতে কর্মরত থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত এবং তাঁদের পরিবারের মানুষ এই আর্মি ক্যান্টিন থেকে জিনিস কিনতে পারেন। এই সব ক্যান্টিন থেকে বছরে আয় হয় প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের অন্যতম বৃহত্ রিটেল চেইন এই আর্মি ক্যান্টিন। ভারতীয় মুদ্রায় ১৪ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকার কিছু বেশি।
গত ১৯ অক্টোবর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে আর্মি ক্যান্টিনগুলির জন্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন জিনিস আর কেনা হবে না। এই বিষয়ে মে এবং জুলাই মাসেই সেনাবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার সঙ্গেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বলেই খবর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেশি দ্রব্যের চাহিদা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নির্দেশিকায় বলা নেই ঠিক কোন কোন বিদেশি দ্রব্য কেনা বাতিল করা হবে। সূত্রের খবর, এই সিদ্ধান্তের কোপ পড়তে পারে বিদেশ থেকে আমদানি করা মদের উপর।
দেশের বিভিন্ন আর্মি ক্যান্টিনে বিদেশি দ্রব্য বিক্রির থেকে মোট আয়ের ৬ থেকে ৭ শতাংশ আসে। এই তথ্য সামনে এসেছে সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস–এর করা সমীক্ষার ভিত্তিতে। চিনে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী যেমন ডায়াপার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, হ্যান্ডব্যাগ, ল্যাপটপের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। জুন মাসে সংবাদসংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিদেশি সংস্থা পারনড এবং ডিয়াজিও’র কাছে যাচ্ছে না সরকারি দোকান থেকে বিদেশি মদের বরাত। বরং বছরে আর্মি ক্যান্টিনগুলি থেকে বিদেশি মদ বিক্রি করে আয় হয় প্রায় ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।