শুক্রবার কাশ্মীরের উরি থেকে গুরেজ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে ভারি গোলাগুলি বিনিময়ের পরে গত সন্ধ্যা থেকে পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল রয়েছে।
গতকালের পাক হামলায় বাংলার এক সেনা জওয়ান-সহ পাঁচ নিরাপত্তা রক্ষী ও চার অসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অসামরিক চার জন উরির বাসিন্দা। উরির গারকোট এলাকার বাসিন্দা মুখতার আহমেদ জানিয়েছেন, গত সন্ধ্যা থেকে উরি, গুরেজ ও অন্য সেক্টরে কোনও গোলাগুলি চলেনি। গত দিনের হামলায় পাক বাহিনীর ছোড়া বেশ কয়েকটি শেল বসতি সংলগ্ন রাস্তার উপর এসে পড়ে বলে তিনি জানিয়েছেন। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয়রা মাটির নীচে বাঙ্কারে আশ্রয় নেন।
শীতে পুরু বরফের চাদরে মুড়ে যায় এই এলাকা। সীমান্ত সংঘর্ষ জারি থাকলে পরিবার নিয়ে তখন কোথায় আশ্রয় নেবেন, সেই চিন্তায় ঘুম ছুটেছে এলাকাবাসীর, উদ্বেগ মুখতারের।
এরই মধ্যে গত রাত থেকে বৃষ্টি ও বরফ পড়তে শুরু করেছে উরি ও গুরেজে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আপাতত দুই দিন ধরে সীমান্তে এই অবস্থা চলবে। বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে এখন ঈশ্বরই ভরসা সীমান্তের গ্রামগুলির।
অন্য দিকে, শনিবার দুপুরে গতকালের সংঘর্ষে নিহত ভারতীয় সেনাকর্মীদের দেহ তাঁর বাড়িতে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।