মুম্বই সফরে গিয়ে মহারাষ্ট্র স্ট্রংম্যানকে পাশে নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ইউপিএ’র আর কোনও অস্তিত্ব নেই। এই মন্তব্যের পরই রে রে করে নেমে পড়েছেন কংগ্রেস নেতারা। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অলআউট বিরোধিতায় নামবেন। এই পরিস্থিতিতে আবার তৃণমূল সুপ্রিমোর পাশে এসে দাঁড়ালেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি সরাসরি কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে টুইট করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ১০ বছরে ৯০ শতাংশ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে কংগ্রেস। আর তাঁদের কোনও নেতার কাছে নেতৃত্ব স্বর্গ থেকে পাওয়া অধিকার নয়।
প্রশান্ত কিশোরের এই টুইটের পর মোটামুটি জোট বিশ বাঁও জলে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস–তৃণমূল কংগ্রেসের যে জোটের কথা ভাবা হয়েছিল তারপর এই পর পর ঘটনার গতিপ্রকৃতি জোটের পক্ষে হাওয়া বহন করছে না। কংগ্রেসের ভূমিকা এবং তাঁদের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। ফলে কংগ্রেস এখন সোচ্চার হলেও তাতে দেশের মানুষ তেমন আমল দেবে বলেই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন।
ঠিক কী টুইট করেছেন প্রশান্ত কিশোর? আজ তিনি কংগ্রেসকে তুলোধনা করে লিখেছেন, ‘যে মতাদর্শ এবং জায়গা কংগ্রেস ছেড়ে রেখেছে সেখানেই শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী তৈরি হবে। কিন্তু তাঁদের কোনও নেতার কাছে নেতৃত্ব স্বর্গ থেকে পাওয়া অধিকার নয়। বিশেষ করে যখন গত ১০ বছরে ৯০ শতাংশ নির্বাচনে হেরেছে কংগ্রেস। আশাকরি বিরোধী নেতৃত্ব গণতান্ত্রিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
আসলে প্রশান্ত কিশোর বলতে চেয়েছেন গোটা দেশে কংগ্রেস আছে ঠিকই। কিন্তু তাঁরা কী বিজেপির বিরুদ্ধে গোটা দেশে জিততে পারছেন? পারছেন না। ফলে যেখানে যেখানে কংগ্রেস দুর্বল সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসই নেতৃত্বের ভূমিকা নেবে। তাই নেতৃত্ব কারও কাছে স্বর্গ থেকে পাওয়া অধিকার নয়। আর বাণিজ্যনগরী থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, যদি কেউ ৬ মাস বিদেশে কাটান তাহলে রাজনীতি করবেন কি করে! তারপরই এই টুইট জাতীয় রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ।