ন্যাশানাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার (এনএসইউআই) সাতজন নেতাকে বহিষ্কার করা হল। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ কংগ্রেসের এই ছাত্র সংগঠনের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ‘জয় শ্রীরাম’ লিখে পোস্ট করেছিলেন। তাই তিন বছরের জন্য সাতজন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বলে খবর। এই সাতজন নেতাই পূর্ব সিংভূম জেলার বাসিন্দা।
এনএসইউআই–এর জেলা সভাপতি রোস তিরকে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। সেখানে তিনি এই সাতজন নেতার বহিষ্কারের কথা উল্লেখ করেছেন। জামশেদপুর শাখার পূর্ব সিংভূম জেলার সাতজন নেতা হলেন—কমল আগরওয়াল, রাজ মাহাতো, রাহুল গিরি, আনন্দ সিং, প্রশান্ত কুমার, লব কুমার এবং জয়ন্ত প্রামাণিক। এই বিষয়ে এনএসইউআই–এর জেলা সভাপতি রোস তিরকে বলেন, ‘এঁরা দলের মধ্যে গোষ্ঠীবাজি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। বিশেষ জাতিকে দলের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তুলে আনা হচ্ছিল। তাই তিন বছরের জন্য এই নেতাদের এনএসইউআই থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস এবং এনএসইউআই ধর্মনিরপেক্ষতার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে তিনি জানান। আর যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সেখানে লেখা আছে, ‘কংগ্রেস এবং এনএসইউআই কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম, জাতিকে প্রাধান্য দেয় না। সবাইকে নিয়েই চলে। সেখানে এমন নেতাদের দরকার নেই যাঁরা বিভাজন করেন। তাঁরা প্রতিনিয়ত আপত্তিকর পোস্ট করেন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং নানা জায়গায় বিতর্কিত পোস্ট করেন হয়রানি করার জন্য। যা দলবিরোধী কার্যকলাপ।’
এই বিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা কমল আগরওয়াল বলেন, ‘আমি এখনও কোনও বহিষ্কারের চিঠি পাইনি। তবে সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে খবর পেয়েছি। আমি বিস্তারিত সংগঠন নিয়ে কথা বলেছি রাজ্য সভাপতি আমির হাসমির সঙ্গে। প্রত্যেক মানুষের কী তাঁর নিজের জাতি নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই দেশে? তাই আমরা জয় শ্রীরাম এবং ওয়াহে গুরু বলে থাকি।’ এই ঘটনায় বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক রাকেশ সিং বলেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার এই নিয়ে আপত্তি দেখাচ্ছে কংগ্রেস। এটা হিন্দু–বিরোধী।’