কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের পথে হেঁটে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।একইসঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে যাতে রাজ্যগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে সেই ডাকও দিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী।এর আগে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছিলেন।সেই চিঠিতেও তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের উচিত ভ্যাকসিন কিনে নিয়ে বিনামূল্যে তা প্রয়োজনের ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকে বণ্টন করা।
শুধু অবিজেপি রাজ্যগুলিকেই শুধু নয়, সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।চিঠিতে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, করোনার নতুন ঢেউ আটকাতে হলে ও মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াকে জোরকদমে চালু করা প্রয়োজন।প্রতিটি রাজ্য যদি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া এগিয়ে না নিয়ে যায়, তাহলে কোনও রাজ্যই করোনার থেকে নিরাপদ নয়।এটি একটি রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যের প্রতিযোগিতা করার সময় নয়।এদিন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর ও রাজ্য, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ভ্যাকসিন কেনার বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে চাহিদা বেড়ে যায়।অনেক রাজ্যই ভ্যাকসিন কেনার ব্যাপারে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকছে।কিন্তু বিদেশি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছে।তারা এখনই রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চাইছে না।অন্যদিকে দেশীয় যে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা রয়েছে, সেই সব সংস্থার পক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণে রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী একইসঙ্গে জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত কেন্দ্রীয়ভাবে ভ্যাকসিনগুলিকে কিনে নেওয়া ও রাজ্যগুলিকে তা বণ্টন করা।ভ্যাকসিন সরবরাহ করার পর রাজ্যগুলিকে তা বণ্টনের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।রাজ্যে মানুষ সবাই যাতে ঠিকভাবে ভ্যাকসিন পায়, তা ওই সংশ্লিষ্ট রাজ্যকেই স্থির করতে হবে।দ্রুত যাতে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াকে কার্যকর করা যায়, সেজন্য সব রাজ্যকে এগিয়ে আসতে হবে ও ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রকে প্রস্তাব পাঠাতে হবে।করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।