জাতীয় সড়ক অথবা কোনও পাবলিক স্পেসে অবরোধ করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য় সরকারের কাছে সুপারিশ করল আইন কমিশন। আইন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে সরকারি সম্পত্তি ভাঙবেন অভিযুক্তরা সেটা তাদের মিটিয়ে দিতে হবে। জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে এটাই শর্ত বলে উল্লেখ করতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে আইন কমিশন।
এদিকে আইন কমিশনের এই পদক্ষেপকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই নানা চর্চা চলছে। সূত্রের খবর, একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, হাইওয়ে আটকে, অবরোধ করে নানা ধরনের আন্দোলন করা হয়। এর জেরে মারাত্মক সমস্য়ায় পড়েন সাধারণ মানুষ। এনিয়ে পুলিশ, প্রশাসনের তরফে বার বার সতর্ক করা হয়। কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি। হাইওয়েতে অবরোধ করলে পরিস্থিতি ক্রমেই বিগড়ে যায়। দেখা যায় হাইওয়েতে অবরোধ করলে লাইন দিয়ে গাড়ি আটকে যায়। এর জেরে সমস্যা মাত্রাছাড়া হয়ে যায়। এমনকী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে যারা রাস্তায় বের হন সমস্য়ায় পড়ে যান তারাও। তবে এবার আইন কমিশনের এই সুপারিশকে ঘিরে স্বস্তি পাবেন অনেকেই।
তবে সমস্যায় পড়বেন অবরোধকারীরা। এদিকে যে সংগঠনের তরফে এই অবরোধ করা হবে তাদের তরফে এই ভাঙচুরের দায় নিতে হবে। তাদেরকেই এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আইন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, যে পাবলিক সম্পত্তিকে নষ্ট করা হবে তার বাজারদর হিসাব করা হবে। সেই বাজারদরের উপর ভিত্তি করে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এক্ষেত্রে আদালত গোটা বিষয়টি নির্ধারিত করতে পারে।
আইন কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে অধিকার রক্ষায় যে আন্দোলন ও রাজনৈতিক দল তাদের রাশ টানতে হবে। গোটা প্রক্রিয়াটি শান্তিপূরণভাবে করা দরকার। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রিভেনশন অফ ড্যামেজ টু পাবলিক প্রপার্টি অ্যাক্ট ( অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০১৫র একটা খসড়া তৈরি করা হয়েছিল।
এদিকে আইন কমিশনের তরফ থেকে এটা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে যে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনা এখনও ঘটছে। এর জেরে সরকারের বড়সর ক্ষতি হচ্ছে। এর জেরে সাধারণ মানুষও বার বার বিপাকে পড়ছেন।