উত্তরপ্রদেশে ক্রান্তি এক্সপ্রেসে মদ্যপ যুবকের মূত্রত্যাগের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন আক্রান্ত বৃদ্ধ দম্পতি। তাঁরা ট্রেনে মদ্যপান নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ট্রেনে মদ্যপান নিষিদ্ধ না করলে বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ওই বৃদ্ধ দম্পতির গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। পরে টিটিই অভিযুক্ত যুবককে ধরে ঝাঁসি জংশনে গিয়ে আরপিএফের হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: 'চাপে' ফুটো পকেট, বন্দে ভারতে প্রস্রাব করতে গিয়ে জলে ৬ হাজার টাকা!
আক্রান্ত দম্পতি ড. জিএন খারে এবং তাঁর স্ত্রী গভীরভাবে হতাশ যে আরপিএফ ওই যুবককে ধরে নামমাত্র জরিমানা নিয়ে ছেড়ে দেয়। ড. খারে, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিকস বিভাগের প্রাক্তন প্রধান। তিনি জানান, ‘আমরা বারবার যুবককে থামানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আলো জ্বালানোর পরেও সে আমার স্ত্রী এবং আমার গায়ে প্রস্রাব করতে থাকে।’ তাঁর অভিযোগ, যুবকটি ইচ্ছাকৃতভাবে এই কান্ড করেছে। তিনি মনে করেন, আরপিএফ ওই যুবককে আরও কঠোর শাস্তি দেওয়া যেত। এই ঘটনার কয়েক দিন আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। অন্য একজন যাত্রী একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘কঠোর পদক্ষেপ না নিলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।’ তিনি সরকারের কাছে ট্রেনে মদ্যপান নিষিদ্ধ করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী ঊষা খারেও ট্রেনে যাত্রার সময় মদ্য পান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।ইতিমধ্যেই, রেলওয়ে এবং আরপিএফ উভয়ই যুবককে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। ঝাঁসির প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ জৈন আদিত্যের নেতৃত্বে কংগ্রেস নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার দীপক সিনহার সঙ্গে দেখা করে বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানায়। জরিমানা দিয়ে কেন দিল্লির যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কেও তাঁরা ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। প্রাক্তন সাংসদ কঠোর পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন।
আরপিএফ ইনচার্জ রবীন্দ্র কৌশিক জানিয়েছেন, রেলওয়ে আইনের ১৪৫ ধারা অনুযায়ী এটি জামিনযোগ্য অপরাধ। আইন মেনেই কাজ করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, বুধবার ওই দম্পতি মধ্যপ্রদেশের হরপালপুর থেকে হজরত নিজামুদ্দিন যাচ্ছিলেন। তাঁরা দু'জনেই এসি কোচ বি-৩-এর নিচের বার্থে ছিলেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত যুবক রীতেশ কুমারও একই কোচে পাশের নিচের বার্থে ছিলেন ।ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ । এরপর সে ওই দম্পতির ওপর প্রস্রাব করে দেয় বলে অভিযোগ।