ভারতীয় রেলের যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে বন্দে ভারত ট্রেনের হাত ধরে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ২০টিরও বেশি বন্দে ভারত ট্রেন চলছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকেও ছুটতে শুরু করেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সেই বন্দে ভারতেই বিনা টিকিটে উঠে প্রস্রাব করেন এক ব্যক্তি। যার জেরে তাঁকে জরিমানা বাবদ দিতে হয় টাকা। পাশাপাশি বাকি খরচ বাবদ তার মোট ৬ হাজার টাকা খসেছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটিয়েছেন আবদুল কাদির নামক এক ব্যক্তি। তিনি হায়দরাবাদের বাসিন্দা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, হায়দরাবাদ থেকে ভোপালে এসেছিলেন আবদুল এবং তাঁর পরিবার। আবদুলের দু'টি ড্রাইফ্রুটসের দোকান আছে। একটি হায়দরাবাদে, অপরটি সিনগ্রৌলিতে। তিনি ভোপাল থেকে ফের সিনগ্রৌলির ট্রেন ধরবেন বলেই প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন পরিবারের সঙ্গে। সেই সময় খুব জোরে প্রস্রাব পায় তার। থাকতে না পেরে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা বন্দে ভারতে উঠে পড়েন তিনি। সেই ট্রেনের টয়েলেটেই হালকা হন আবদুল। এদিকে বিনা টিকিটে বন্দে ভারতে ওঠার জেরে তাঁকে জরিমানা বাবদ দিতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। ঘটনাটি ঘটে গত ১৫ জুলাই। বিকেল ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ এটা ঘটে।
জানা গিয়েছে, আট বছরের ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে হায়দরাবাদ থেকে ভোপালে আসেন আবদুল। তাদের সিনগ্রৌলির ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে। এরই মাঝে বিকেলে প্রস্রাব পায় তার। তবে প্ল্যাটফর্মে টয়লেট না দেখতে পেয়ে ট্রেনেই উঠে গিয়ে হালকা হয়ে আসেন তিনি। তবে সেই হালকা হতে গিয়ে তার পকেটে বিশাল বড় চাপ পড়ে যায়। টয়লেট করে বের হওয়ার পরই আবদুল দেখেন ট্রেনের অটোমেটিক দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিনি আটকা পড়ে যান ভিতরেই। এই অবস্থায় আবদুল তিনজন টিকিট পরীক্ষক এবং চারজন নিরাপত্তারক্ষীর সাহায্য চান। তবে তারা সবাই তাকে বলেন, একমাত্র চালকই ট্রেনের দরজা খুলতে পারেন। তবে চালকের সঙ্গে আবদুল কথা বলতে পারেনি। এরপর ট্রেনটি উজ্জৈনে থামলে সেখানে নামেন আবদুল। তাকে বিনা টিকিটে ভ্রমণের জন্য ১০২০ টাকা জরিমানা দিতে হয় ট্রেনে। এদিকে সেখান থেকে ভোপালে ফিরতে বাসের টিকিট বাবদ আবদুলের খরচ হয় ৭৫০ টাকা। এদিকে সিনগ্রৌলি যাওয়ার জন্য ৪ হাজার টাকার টিকিট কেটেছিলেন আবদুল। সেই টিকিটও জলে যায়। বন্দে ভারতে প্রস্রাব করতে গিয়ে প্রায় ৬ হাজার টাকার মতো লোকসান হয় আবদুলের।