ফাইট কোনি ফাইট। সাঁতারুর জীবন নিয়ে তৈরি পুরনো সেই বাংলা সিনেমাটার কথা মনে আছে? সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রে তুলে ধরা হয়েছিল একজন কোচের উদ্বুদ্ধ করার মনোভাব। সেরকমই এক দৃশ্য দেখা গেল অলিম্পিকে। জুডোর ম্যাচের আগে নিজের ছাত্রীকে অনুপ্রাণিত করলেন এক কোচ। তবে তাঁর পদ্ধতি একটু 'ভিন্ন' রকমের হওয়ায় তাই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
টোকিয়ো অলিম্পিক ২০২০-র জুডো ম্যাচ। মুখোমুখি হতে চলেছেন জার্মানির মার্টিনা ট্রাদোস এবং হাঙ্গেরির জোফি ওডবাস। সেই সময়েই দেখা যায় মার্টিনা ও তাঁর কোচ এগিয়ে আসছেন। এরপর তাঁর কোচ মার্টিনাকে ধরে বেশ জোরে একটু ঝাঁকুনি দিলেন। এরপর সপাট দুটি চড় মারলেন মার্টিনার গালে। মার্টিনা যে এতে বেশ অভ্যস্ত তা বোঝাই গেল। আলতো করে মাথা নেড়ে এগিয়ে গেলেন।
দেখুন সেই ভিডিয়ো:
প্রাক্তন অলিম্পিক সাঁতারু ন্যান্সি হগসহেড-মাকার যদিও এই ওয়ার্ম আপ পদ্ধতির প্রতিবাদ করেছেন। তাঁর মতে এভাবেই অ্যাথলিটদের নির্যাতন করেন কোচরা।
অন্যদিকে অনেকেই পাল্টা বলেছেন, জুডো, রাগবি, বক্সিং, ফুটবলের মতো কনট্যাক্ট স্পোর্টকে আর পাঁচটা খেলার সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে হবে না। এগুলির ক্ষেত্রে এভাবেই অ্যাথলিটদের ওয়ার্ম আপ করা হয়। এতে আরও সজাগ ও উদ্বুদ্ধ হয়ে যান প্লেয়াররা।
মার্টিনা নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক বাড়তে দেখে মুখ খুলেছেন। সকলে এটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ায় তিনি বেশ অবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'এটি খুবই সামান্য একটা ব্যাপার। আমাকে উদ্বুদ্ধ করছিলেন কোচ। এটা ওয়ার্ম আপ ও এক মনে লড়তে যাওয়ার জন্য জরুরি।'