এবার আইআইটি বোম্বের মতো নামী ইনস্টিটিউটে ভেজ বনাম নন ভেজের লড়াই। আসলে হয়েছেটা কী! আইআইটি বোম্বের ক্যান্টিনে একটা নিয়ম করা হয়েছে যে, ছটা টেবিল নিরামিষ যারা খায় তাদের জন্য় বুক থাকবে। আর গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে চার পাঁচজন ওই টেবিলের মধ্য়ে একটিতে বসে মাংস খেতে শুরু করেন। এরপরই এনিয়ে একেবারে হইচই অবস্থা।
তবে মনে করা হচ্ছে মেস কাউন্সিলের মিটিংয়ে ওই ভেজ অনলি টেবিলের কথা বলা হয়েছিল। আর কার্যত তারই প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ভেজ টেবিলে নন ভেজ নিয়ে বসে পড়েন কয়েকজন।
তাঁদের দাবি, এভাবে মেস কাউন্সিলের আলাদা করে টেবিল সংরক্ষণের কোনও যুক্তি নেই। এভাবে বিভাজন করাটা ঠিক নয়। আমাদের নিজেদের মধ্য়ে বোঝাপড়া রয়েছে। সেটা অনুসারেই আমরা পদক্ষেপ নিতে পারি। তার জন্য় আলাদা করে এসবের কোনও যুক্তি ছিল না। আলাদা করে এভাবে বিভাজন করাটা ঠিক হচ্ছে না।
সূত্রের খবর, মেস কাউন্সিল এনিয়ে একটি মেল করেছিল। আর সেই মেল দেখেই পড়ুয়াদের মধ্যে কিছুটা চাঞ্চল্য ছড়ায়। সেখানে বলা হয়েছিল ৬টা টেবিলে কেবলমাত্র ভেজ খাবার পরিবেশন করা হবে। সেখানে বলা হয়েছিল, অনেকেই এমন আছেন যে আমিষ খাবার দেখতে পারেন না। তার গন্ধ তাদের কাছে অসহ্য লাগে। এতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। সেকারণেই এবার এই টেবিল নির্দিষ্ট করা হল তাদের জন্য। শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য এটা করা হয়েছে।
তবে তারই প্রতিবাদ জানান ননভেজ খান এমন পড়ুয়ারা। কারণ তাদের দাবি এভাবে বিভাজন রেখা টেনে দেওয়াটা ঠিক হচ্ছে না।
তাঁদের দাবি কেবলমাত্র শুক্রবার নন ভেজ মেনু দেয় মেস থেকে। বাকি দিন কিনতে হয়। এর জেরে নন ভেজ অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবে খাবার খাওয়ার যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। কিন্তু এভাবে নিয়ম করে বিভাজনের কোনও মানে হয় না। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা না বলেই এসব করা হয়েছে বলে তাদের দাবি।