'মেলাবেন তিনি মেলাবেন'। এখানে তিনি হলেন তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তাঁরই ডাকে সোমবার একমঞ্চে হাজির হতে পারে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, সিপিআই, আপ। বৈঠক অরাজনৈতিক বলে দাবি করা হলে, বস্তুত এই বৈঠক বিরোধীদের একজোট করার প্রয়াস বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার দিল্লিতে এই বৈঠকের ডাক দিয়েছে 'অল ইন্ডিয়া ফেডাকেশন অফ সোশ্যাল জাস্টিস' নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। যার প্রেসিডেন্ট হলেন এমকে স্ট্যালিন। বৈঠকে অলোচ্য বিষয় হল, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার দাবিকে কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এই বিষয়ে আলোচনার জন্য সমমনস্ক রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সমাজকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে যে আমন্ত্রিতের তালিকা দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকা অনুযায়ী বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েন, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই-এর ডি রাজা,সমাজবাদী পার্টি প্রেসিডেন্ট অখিলেশ যাদব, জেকেএনসি-র ফারুক আবদুল্লা, এনসিপি-র ছগন চন্দ্রকান্ত, আপের সঞ্জয় সিং, আরজেডি মনোজ কুমার ঝা, বিআরএস সাংসদ কেশব রাও-সহ অনেকে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে থাকতে পারেন।
(পড়তে পারেন। পুরীতে ২কোটির জমি বিনামূল্যে, 'বিশ্ববাংলা ভবন'-এর জন্য বাংলাকে উপহার ওড়িশার)
কিছু দিন আগে পর্যন্ত তৃণমূল ও আপ-সহ কয়েকটি বিরোধী দল অকংগ্রেসী জোটে পক্ষে সওয়াল করছিল। কিন্তু রাহুল গান্ধী সাংসদপদ খারিজের পর পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। বিরোধীরা কার্যত একই সুরে কংগ্রেস নেতার সাংসদ পদ খারিজের বিরোধিতা করেছে। এই পরিস্থিতিতে স্ট্যালিনের ডাকে সোমবারের বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এমনিতে তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেশিরভাগ বিরোধী দলগুলির সুসম্পর্ক রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই চেন্নাই গিয়ে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। তাই ডিএমকে-র ডাকে এই বৈঠক অরাজনৈতিক বলে দাবি করা হলেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর একটা চেষ্টা।