ডিরেক্টোরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএর তরফে শুক্রবার একটি শোকজ নোটিস পাঠানো হয় এয়ার ইন্ডিয়াকে। ঘটনা মুম্বই বিমানবন্দরের। সেখানে এয়ার ইন্ডিয়ার এক প্রবীণ যাত্রীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। হুইল চেয়ারের কমতি থাকায় ওই প্রবীণ যাত্রীকে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করতে বলা হয়। তিনি হাঁটতে থাকেন। এরপর এরপরই বিমানবন্দরে হেল্থ অফিসরের অফিসের সামনে তিনি পড়ে যান। তাঁর মৃত্যু ঘিরে এবার নড়েচড়ে বসেছে ডিজিসিএ। ডিডিসিএর তরফে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এয়ার ইন্ডিয়াকে পাঠানো হয়েছে শোকজ নোটিস।
এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী ৮০ বছর বয়সী বাবু প্যাটেল ও তাঁর স্ত্রী ৭৬ বছর বয়সী নর্মদাবেন প্যাটেল, দুজনেই হুইলচেয়ারের জন্য আবেদন করেন। তাঁরা নিউইয়র্কের থেকে ফেরা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান থেকে নেমে হুইলচেয়ারের আবেদন করেন। হুইলচেয়ার কম ছিল। বাবু প্যাটেলকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। তবে, তিনি অপেক্ষা করেননি। এদিকে, হুইলচেয়ারের কমতির জেরে স্ত্রীকে ওই হুইলচেয়ার দিয়ে স্বামী বাবু প্যাটেল হাঁটতে থাকেন। খানিকবাদেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনা গত ১২ ফেব্রুয়ারির। আর সেদিনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে, এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ‘ একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায়, আমাদের একজন অতিথি ১২ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক থেকে মুম্বাই যাওয়ার পথে, হুইলচেয়ারে থাকা তার স্ত্রীর সাথে ইমিগ্রেশন পর্বের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন।’ জানা যায়, বিমানবন্দরে লুটিয়ে পড়ে যেতেই তিনি মারা যান। এয়ারলাইন্স জাানিয়েছে, তখনই ওই যাত্রীর সঙ্গে ছিলেন একজন চিকিৎসক। চিকিৎসককে সঙ্গে রাখার পাশাপাশি তাঁকে মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর হাসপাতালে নিয়ে যেতেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই গোটা ঘটনার জেরে মুম্বই বিমানবন্দরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
মুম্বাই বিমানবন্দর অপারেটর এমআইএএল-এর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হুইলচেয়ার সহায়তা সম্পূর্ণরূপে এয়ারলাইন দ্বারা প্রদত্ত একটি পরিষেবা। ডিজিসিএ এয়ার ইন্ডিয়াকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে, বেসামরিক বিমান চলাচলের প্রয়োজনীয়তা বিধানের সাথে অ-সম্মতি এবং এয়ারক্রাফ্ট বিধি, ১৯৩৭ লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে এই শোকজন নোটিস জারি হয়েছে। জানানো হয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে এয়ার ইন্ডিয়াকে।