সারা ভারতের বাছাই করা কিছু জায়গায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাসট্রাজেনেকা-র তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিনের মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ পর্ব শুরু করতে চলেছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)। ট্রায়াল শুরু হবে চলতি সপ্তাহেই।
দুনিয়াজুড়ে কোভিড প্রতিষেধক আবিষ্কারের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভ্যাক্সিন। ভারতে এই প্রথম কোনও কোভিড ভ্যাক্সিন ট্রায়ালের বিলম্বিত পর্ব শুরু হতে চলেছে।
ট্রায়াল শুরুর আগে কেন্দ্রীয় সরকার একটি ভ্যাক্সিন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। ট্রায়ালের জন্য কী ভাবে ভ্যাক্সিন বিতরণ করা হবে, সে বিষয়ে কমিটির আলোচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ১০টি কেন্দ্রে ট্রায়াল চালু হবে। এর পর আরও পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি করা হবে। এর মধ্যে মুম্বইতে হচ্ছে দুটি কেন্দ্র, কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালে।
নিয়ন্ত্রিত আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ট্রায়াল পরিচালনা করা হবে। প্রায় ১,৬০০ স্বেচ্ছাসেবক ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁদের কারও কোভিড ইতিহাস নেই এবং কেউ পুরনো কঠিন শারীরিক সমস্যায় ভুগঠছেন না। স্বেচ্ছাসেবকদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রাখা হয়েছে।
ট্রায়ালে দেখা হবে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাক্সিন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম কি না। স্বেচ্ছাসেবকের দেহে প্রথম বার ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করার প্রায় ২ মাস পরে ফলাফল পর্যালোচনা করা হবে। দুই সপ্তাহ অন্তর স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে ভ্যাক্সিনের ডোজ প্রয়োগ করা হবে।
ব্রিটেনে অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলেছে। ব্রাজিলে চলেছে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এবং প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। জানা গিয়েছে, ভারতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ভ্যাক্সিনের প্রতি ডোজের দাম পড়বে ২৫০-৩০০ টাকা।