শ্রীলক্ষ্মী বি
কার্যত অর্থনীতি একেবারে নুয়ে পড়েছে পাকিস্তানের। সেক্ষেত্রে এবার নয়া উদ্যোগ নিল পাকিস্তান। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য তাদের দেশের দরজা খুলতে ভিসার পলিসির ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয়তা দেখাল পাকিস্তান। এর আগে আগের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট ফেসিলিটেশন কাউন্সিল তৈরি করেছিলেন। মূলত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্যই এই বডিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কাউন্সিল সম্প্রতি দুদিনের আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভিসার পলিসিতে কিছুটা রদবদল করা হবে।
পিটিআই সূত্রে খবর, পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার উল হক ককর এই মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন। তিনি একটি বার্তায় জানিয়েছেন, বিদেশের যে ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানে আসতে চাইছেন তাঁদের জন্য একেবারে সহজ ভিসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তাদের দেশের একটা মাত্র নথি দিলেই মিলবে ভিসা। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে নথি দিলেও হবে। মূলত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যাতে পাকিস্তানে আসতে পারেন তার জন্য ভিসার ক্ষেত্রে অতি সহজ ব্যবস্থা করতে চাইছে পাকিস্তান।
একটি বিবৃতিতে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, যদি পাকিস্তানের চেম্বার অফ বিজনেস ও বিজনেস অর্গানাইজেশন নথি সরবরাহ করে তবে তাঁদের জন্য খুব সহজে ভিসা দেওয়া সম্ভব হবে। সেই সঙ্গেই তাঁর আশা নতুন ভিসার মাধ্যমে পাকিস্তানের ব্যবসা ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি হবে।
সাংবাদিক বৈঠকে কেয়ারটেকার বিদেশমন্ত্রী জালিল আব্বাস জিলানি জানিয়েছেন, এসআইএফসির মাধ্যমে চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে পাকিস্তানের কী সম্পর্ক তানিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, গাল্ফ কো অপারেশন কাউন্সিলের ছাতার তলায় থাকা দেশগুলিও বিনিয়োগের ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে। সেই দেশগুলির মধ্য়ে অন্যতম বাহারিন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। ডন সংবাদপত্রে একটা সাক্ষাৎকারে আইনমন্ত্রী আহমেদ ইরফান ইসলাম জানিয়েছেন, চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর ভালো ফান্ড আনছে চিন থেকে কিন্তু পাশ্চাত্যের দেশগুলি সেভাবে আগ্রহ দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে না।
অনেকের মতে, ভারতে জি ২০এর ঝলমলে পরিস্থিতির কথা জেনে কার্যত মাথা ঘুরে গেছে পাকিস্তানের। নিজেদের দুর্বল অর্থনীতিতে চাঙা করতে এবার ভিসা নীতিতে বদল।