সংস্কৃতির যুক্তি খাড়া করে তালিবানদের 'নারীবিদ্বেষী' মনোভাবের সাফাই দিয়েছিলেন ইমরান খান। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপের মুখে পড়েন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এবার তাঁকে নিশানা করলেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই।
সোমবার টুইটারে মালালা বলেন, 'মেয়েদের শিক্ষায় তালিবানি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমি প্রায় জীবন হারাতে বসেছিলাম। তালিবানি অত্যাচারের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর তুলে হাজার-হাজার পাসতুন সমাজকর্মী মারা গিয়েছেন। তাঁরা শরণার্থী হয়েছেন। আমরা পাসতুনদের প্রতিনিধি, তালিবান নয়।'
ইসালামাবাদে 'অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন'-এর (ওআইসি) ১৭ তম সম্মেলনে ইমরান বলেন, 'যখন আপনি মানবাধিকারের কথা বলেন, (তখন আপনাকে বুঝতে হবে যে) প্রতিটি সমাজ পৃথক। প্রতিটি সমাজের মানবাধিকার এবং নারী অধিকারের ধারণা আলাদা হয়। আপনাদের একটা উদাহরণ দিতে চাই। আফগানিস্তানের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অবস্থিত পাখতুনখাওয়া প্রদেশ। সংস্কৃতি একইরকম। কারণ তালিবান মূলত পাসতুন আন্দোলন।' তারপর তিনি দাবি করেন, পেশোয়ারের যেরকম সংস্কৃতি, তার সঙ্গে আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া পাখতুনখাওয়ায় সংস্কৃতি আলাদা। মেয়েদের স্কুলে ভরতির জন্য অভিভাবকদের স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়। কিন্তু আফগানিস্তান লাগোয়া প্রদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা। সেখানকার সংস্কৃতির প্রতি যদি ‘শ্রদ্ধা’ না বজায় রাখা হয়, তাহলে স্টাইপেন্ড দিয়েও কোনও লাভ হবে না। যদি সেখানকার মানুষের সংস্কৃতির প্রতি সংবেদনশীল হওয়া যায়, তাহলে স্টাইপেন্ড না দিলেও তাঁরা মেয়েদের স্কুলে পাঠাবেন।
সেই মন্তব্যের জেরেই তোপের মুখে পড়েন ইমরান। অভিযোগ করা হয়, সংস্কৃতির নামে তালিবানের নারীবিদ্বেষী মনোভাবের হয়ে সওয়াল করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। একই ছুতোয় মানবাধিকার লঙ্ঘনের পক্ষেও সওয়াল করছেন বলে অভিযোগ তোলেন অনেকেই। একইসুরে ইমরানকে তোপ দাগলেন মালালা।