ভারতের অভ্যন্তরে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সামলোচনা করেছিল পাকিস্তান। সেই অভিযোগ খারিজ করে ইসলামাবাদকে অন্য দেশের বিষয়ে নাক না গলানোর 'পরামর্শ’ দিল নয়াদিল্লি। সেই কাজের পরিবর্তে নিজেদের দেশে সংখ্যালঘুদের হত্যা, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে বহিরাগতদের গায়েব করে দেওয়ার বিষয়গুলি সামলানোর দিকে মনোযোগ দিতে বলল ভারত।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জেনেভার আলোচনা সভায় ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, এখনও ‘জঙ্গিদের নিরাপদ ঘাঁটি’ হল পাকিস্তান। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে আরও বেশি সংখ্যক জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির ও লঞ্চপ্যাড তৈরি করা হয়েছে।
জেনেভায় ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি পবন বাধে বলেন, ‘বালোচিস্তান, খাইবার-পাখতুনখাওয়া এলং সিন্ধের ১২ বছরের শিশুদেরও পর্যন্ত অপরহণ করে আত্মঘাতী জঙ্গি হওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাকিস্তান কী করতে পারে, তার ভয়ানক উদাহরণ হিসেবে সেদেশের মন্ত্রীদের বক্তব্য তুলে ধরা যায়। যাঁরা বালোচিস্তানে রাজনৈতিক সংকট মেটানোর জন্য গর্বের সঙ্গে (বালোচের মানুষের) আরও একবার পূর্ণমাত্রায় গণহত্যার ডাক দেন।'
তিনি জানান, পাকিস্তানকে ‘সংখ্যালঘুদের হত্যার জায়গা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। আহমাড়ি সম্প্রদায়ের মানুষকে সবথেকে বেশি হত্যা করে পাকিস্তান। তবে শুধু আহমাড়ি সম্প্রদায়ের মানুষ নন, প্রতি বছর শয়ে শয়ে খ্রিশ্চান সম্প্রদায়ের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। অধিকাংশ খ্রিশ্চান মানুষকে হিংসাত্মক উপায়ে খুন করে ইমরানের খানের দেশ।
পবন বাধে বলেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান যে জঘন্য অভিযোগ তুলেছে, তা কখনও সংখ্যালঘু ও তাদের অধীনে থাকা মানুষের কণ্ঠস্বর দমিয়ে দিতে পারবে না। যখন ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিবর্তে পাকিস্তানে মুণ্ডুচ্ছেদ একমাত্র বিকল্প, তখন ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু ভাগ্যে কী আছে, তা ভালো মতোই জানা।’
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চের অপব্যবহার করে ইসলামাবাদ যেভাবে মিথ্যা-ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে, তা নিয়েও রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভারতীয় কূটনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘এটা পরিষদের জন্য উদ্বেগজনক বিষয় হওয়া উচিত যে আমার দেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপরায়ণ ভুয়ো প্রচারের জন্য ক্রমাগত এই গৌরবান্বিত মহলকে ক্রমাগত অপব্যবহার করে চলেছে পাকিস্তান।’