অরুণ দেব
লুডো খেলতে খেলতে প্রেম। আর প্রেম মানে না সীমান্ত। সেই প্রেমের টানেই ১৯ বছর বয়সী এক পাকিস্তানি কন্য়া চোরাপথে পালিয়ে এসেছিল ভারতে। তবে আপাতত তাকে পাকিস্তানের হাতে প্রত্যার্পণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আটারি সীমান্ত দিয়ে রবিবার তাকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস সূত্রে এমনটাই খবর।
এদিকে ওই তরুণী বেঙ্গালুরুতে বাস করছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ আপাতত নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু তার সঙ্গী ২৬ বছর বয়সী মুলায়ম সিং যাদবের বিরুদ্ধে ৪২০, ৪৯৫ সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।
বেঙ্গালুরু পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পাকিস্তানি তরুণী তার বাড়িতে ফোন করেছিলেন। এরপরই পুলিশের এনিয়ে সন্দেহ হয়। এরপর দেখা যায় বেঙ্গালুরুর একটা লেবার ক্যাম্পে তিনি রয়েছেন। এরপর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে পুলিশ যাদবকে গ্রেফতার করে। সে বেঙ্গালুরুতে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে। একেবারে পাকিস্তানি মেয়েকে ভারতে নিয়ে আসার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
হোয়াইট ফিল্ডের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ এস গিরিশ জানিয়েছেন, যাদব ওই পাকিস্তানি মেয়ে ইকরা জিভানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।একটি অনলাইন গেমের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। সে আসলে অনলাইনে লুডো খেলত। গত বছর সে এক নাবালিকার সঙ্গেও পরিচয় করে। তারপর পাকিস্তানি গার্লফ্রেন্ডকে বেঙ্গালুরুতে আসতে বলে। যাতে তারা বিয়ে করতে পারে। এরপর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মেয়েটি নেপাল দিয়ে পাকিস্তানে আসে। এদিকে ভারতে এসে বেঙ্গালুরুতে শ্রমিক কোয়ার্টারে তিনি থাকতেন।
এদিকে মাঝেমধ্য়েই তিনি পাকিস্তানের হায়দরাবাদে তার পরিবারে ফোন করতেন। এরপর গোয়েন্দা দফতরের এনিয়ে সন্দেহ হয়। তারা ফোন ট্র্য়াক করা শুরু করে। তখনই মেয়েটির সন্ধান মেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে নেপালে যাদব ইকরার সঙ্গে দেখা করে। নাম বদলে সে নতুন নাম নেয় রাভা যাদব। এরপর বেঙ্গালুরুতে এসে একটি ভুয়ো আধার কার্ডও বানায় যাদব। পাসপোর্ট বানানোর চেষ্টাও করে।
এদিকে যে বাড়িতে তারা থাকত তার মালিকের বিরুদ্ধেও পুলিশ মামলা করেছে। এদিকে এর আগে ২০১৭ সালে একজন ভারতীয় ও তিনজন পাকিস্তানি নাগরিককে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা আবার ভারতীয় ভোটার ও আধার কার্ডও বানিয়ে ফেলেছিল। তারা জানিয়েছিল ওমানে কাজ করার সময় তাদের দেখা হয়েছিল। এরপর তাদের মধ্য়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।