সংসদের ভেতর একেবারে দর্শক আসন থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন দুজন। সংসদের ভেতরের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে সেই ঘটনার পরেই এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন স্পিকার। এবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সংসদে প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের পাস ইস্যু করা নিষিদ্ধ করে দিলেন। সেই সঙ্গেই সর্বদলীয় মিটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই নানা প্রশ্ন উঠছে। সংসদের মতো জায়গা যেখানে ভিভিআইপিরা যান। একেবারে সুরক্ষা বলয়ে মোড়া থাকে গোটা এলাকা। কীভাবে সংসদ ভবনের ভেতর এই ধরনের স্মোক ক্য়ানিস্টার নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লেন দুজন তা নিয়ে বড়় প্রশ্ন উঠছে।
তবে সূত্রের খবর, সংসদের মধ্য়ে ছিলেন দুজন। আর সংসদের বাইরে ছিলেন আরও দুজন। সব মিলিয়ে চারজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। যে দুজনকে সংসদের বাইরে থেকে আটক করা হয়েছে তারা হলেন নীলম ও অমল সিন্ডে। নীলমের বয়স ৪২ বছর। আর অমলের ২৫ বছর বয়স। হরিয়ানার হিসার জেলা থেকে সংসদ চত্বরে এসেছিলেন নীলম। আর মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলা থেকে এসেছিলেন ওই যুবক। ট্রান্সপোর্ট ভবনের সামনে থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।
আর সংসদের মধ্য়ে যারা লাফিয়ে পড়েছিলেন তারা হলেন সাগর শর্মা ও মনোরানহান ডি( ৩৫)। তিনি কর্ণাটকের মাইসুরুর বাসিন্দা। বিজেপি এমপি প্রতাপ সিনহার অফিস থেকে ওই পাস দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। আর সেই পাস নিয়ে সংসদের ভেতরে ঢুকে এই কাণ্ড ঘটালেন দুজন।
এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যে বিজেপি এমপি এই পাস দিয়েছিলেন তাকে কেন বহিষ্কার করা হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তবে এসবের মধ্য়েই এবার সংসদ ভবনের ভেতর ভিজিটর্স পাসই ব্যান করে দিলেন স্পিকার। অভ্য়ন্তরীন নিরাপত্তার নিরিখে এই পাস ইস্যু করা নিষিদ্ধ করা হল এবার।
২০০১ সালে এই দিনেই সংসদে হামলা হয়েছিল। আর সেদিনই এই ঘটনা। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা তানাশাহি নেহি চলে গি, বন্দে মাতরম, ভারত মাতা কি জয় বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাদের এই স্লোগানের জেরে আরও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।