অনিরুদ্ধ ধর
সংসদকাণ্ডে এবার বিস্ফোরক সব তথ্য় সামনে আসছে। ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনার পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৫ জনকে। তাদের জেরা করে জানা গিয়েছে তারা আগুনে আত্মহুতি দিতে চেয়েছিলেন। এরপর তাঁরা প্রচার পুস্তিকা ছড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল বিজেপি এমপি প্রতাপ সিংহ যিনি তাদের সংসদে প্রবেশের পাস দিয়েছিলেন তাঁর বয়ান রেকর্ড করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দিল্লি পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, অমল শিন্ডে, নীলম দেবী, ললিত মোহন ঝা সাতটি স্মোক ক্য়ান নিয়ে সংসদের কাছে এসেছিলেন।
শনিবার দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা দাবি করেন, তারা সংসদে আগুনে আত্মহুতি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। পিটিআই সূত্রে খবর। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা তারা করেননি।
দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক পিটিআইকে জানিয়েছেন, তারা সরকারের কাছে কিছু বার্তা দিতে চাইছিলেন। লোকসভার চেম্বারে লাফিয়ে পড়ার আগে তারা আরও কয়েকটি প্ল্য়ানকে নিয়ে কথাবার্তা বলেছিলেন।
প্রথম তারা ভেবেছিলেন ফায়ারপ্রুফ জেল দিয়ে গোটা শরীরে মেখে তারা গায়ে আগুন লাগিয়ে দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনা তারা বাস্তবায়িত করেননি।
তারা সংসদের মধ্য়ে প্রচারপত্র ছড়ানোর পরিকল্পনাও করেছিলেন। কিন্তু সেটাও শেষ পর্যন্ত হয়নি।
এবার বিজেপি এমপি প্রতাপ সিংহের বয়ান রেকর্ড করার কথা ভাবছে স্পেশাল সেল।
শুক্রবার অভিযুক্তদের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। কোথায় তারা দেখা করেছিলেন, কোথায় তারা এই পরিকল্পনা করেছিলেন সেটা দেখা হচ্ছে।
সংসদ থেকে অনুমতি পেলে সংসদের ভেতরেও ঘটনার নাট্যরূপ করা হবে।
পার্লামেন্টের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু পুরানো ভিডিয়ো তারা সার্চ করে দেখেছিলেন। সেই মতো তারা পার্লামেন্ট সংক্রান্ত বিষয়গুলি গুগলে সার্চ করেছিলেন।
পুলিশের চোখে ধুলো দিতে তারা সিগনাল অ্যাপ ব্যবহার করতেন। ওদের মূল লক্ষ্য ছিল যাতে মিডিয়ার কভারেজটা ভালো হয়। সেকারণে অধিবেশনের মধ্য়েই তারা এই কাজ করেন।