বেলজিয়াম আর নেদারল্যান্ডস সীমান্তে অবস্থিত বার্লে শহরের অনেক কিছুই দুটো করে আছে৷ যেমন দুটি পুলিশ ইউনিট, দুটি গির্জা, দুটি ডাক ব্যবস্থা, দুটি টাউন হল৷ এমনকী কিছু মানুষের বাড়িও দুই দেশে অবস্থিত৷ শহরের বাসিন্দা এড ডে লাট জানান, ‘আমার স্ত্রী যখন রাঁধেন তখন তিনি বেলজিয়ামে, আর আমরা যখন খাই, তখন সেটা হল্যান্ডে৷' শহরের নেদারল্যান্ডস অংশের নাম বার্লে নাসাউ৷ আর বেলজিয়াম অংশটি বার্লে হেয়ারটখ নামে পরিচিত৷
বার্লেতে ৭,০০০ মানুষ বাস করেন৷ শহরের পর্যটন অফিসের প্রধান ভিলেম ফান খুল জানান, বেলজিয়ামের ২২টি অংশ আছে নেদারল্যান্ডসে৷ ‘গল্প এখানেই শেষ নয়৷ কারণ, ডাচ সাতটি অংশও বেলজিয়ামে পড়েছে৷ সারা বিশ্বে এমন ৬৪টি আছে৷ মানে, আমাদের আছে প্রায় অর্ধেক, যা আমাদের ছিটমহলের বিশ্ব রাজধানীতে পরিণত করেছে,' বলেন তিনি৷
আরও পড়ুন: Kavach: এবার দিল্লি-হাওড়া রেলপথেও কবচ সিস্টেম, ডাকা হয়েছে টেন্ডার, আর কোন রুটে? জানালেন রেলমন্ত্রী
কিন্তু কীভাবে এমন হল? বড় গল্পটা ছোট করে বললে - ১১৯৮ সালে দু'জন ডিউক কিছু জমি টুকরো করতে রাজি হয়েছিলেন, তাই এমন জটিল অবস্থা তৈরি হয়েছে৷
তবে চোখ খোলা রাখলে আপনি কোথায় আছেন, জানা কঠিন নয়৷ ভিলেম ফান খুল বলেন, ‘আপনি কোন দেশে আছেন সেটা বুঝতে রাস্তায় পেরেক বসানো আছে, আর ফুটপাতে আছে ক্রস৷’
সাধারণত বাড়ির মূল দরজা যে দেশে পড়ে সে দেশে বাড়ি নথিভুক্ত করা হয়৷ বার্লেতে দুটি পুলিশ ইউনিটও আছে৷ তবে কাজ হয় একই অফিসে৷ সেখানে কাজ করেন ডাচ পুলিশ কর্মকর্তা অ্যাড ফান বক্সেল আর বেলজিয়ামের পুলিশ কর্মকর্তা প্যাস্কেল৷ বক্সেল প্যাস্কেলকে দেখিয়ে বলেন, ‘যখন তার কাছে কিছু থাকে.. কিছু জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন, কারণ তিনি আমার কম্পিউটারে দেখতে পারেন না, আমিও তার কম্পিউটারে দেখতে পারি না৷’
শহরের দুই অংশের মেয়রকেও সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করতে হয়৷ বার্লের বাসিন্দারা সীমান্তের যে পাড়েই থাকুন না কেন তাঁরা হাসিঠাট্টার মধ্য দিয়ে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকার উপায় বের করেছেন৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)