এবার দিল্লি- মুম্বই ও দিল্লি- হাওড়া করিডোরে কবচ প্রযুক্তি লাগু করার টেন্ডার আহ্বান করা হল। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, উভয় রুট মিলিয়ে অন্তত ৩০০০ কিমি হবে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সংসদে একথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গেই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই কাজের অগ্রগতি হচ্ছে।
রাজ্যসভায় শুক্রবার লিখিতভাবে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন আরও প্রায় ৬,০০০ কিমি রুটে এই কবচ প্রযুক্তি লাগু করা হবে। এনিয়ে ডিটেলড প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এবার জেনে নেওয়া যাক কবচ প্রযুক্তিটি আসলে কী?
কবচ হল অটোমেটিক ট্রেন প্রটেকশন সিস্টেম। অর্থাৎ বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্য়মে ট্রেন দুর্ঘটনা রোধ করতে কার্যকরী এই সিস্টেম। সম্প্রতি ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরে এই কবচ সিস্টেম কেন লাগু করা হয়নি তা নিয়ে নানা দাবি উঠতে শুরু করেছিল। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, তাঁর সময়ই নাকি কবচ প্রযুক্তির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময় সেই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়নি। এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলেও মতামত দিয়েছিলেন অনেকে।
সূত্রের খবর, এই কবচ সিস্টেমটা আসলে একটা রক্ষা কবচ। এই সিস্টেম থাকলে ট্রেন একটি নির্দিষ্ট গতিতে যাবে। ব্রেক ব্যবহার করতে চালক ভুল করলেও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থাকবে। সমস্ত ঋতূর জন্য় এটা কার্যকরী।
এখনও পর্যন্ত এই কবচ প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য ৩৫১.৯১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।এদিকে ২০১৮-১৯ সালে তিনটি ফার্মকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এই কবচ সাপ্লাই করার জন্য় তাদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০২০ সালের জুলাই মাসে এই কবচ প্রযুক্তিকে ন্যাশানাল অটোমেটিক ট্রেন প্রটেকশন সিস্টেম হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
বর্তমানে কতটা রেললাইনে এই কবচ প্রযুক্তি লাগু করা হয়েছে?
সূত্রের খবর, বর্তমানে মাত্র ১৪৬৫কিমি রেললাইনে এই কবচ প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে। ১২১টি লোকোমেটিভের সঙ্গে এই প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে বলে খবর। বর্তমানে তিনটি ভারতীয় প্রস্তুতকারককে এই কবচ তৈরির ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়া রয়েছে। আপাতত আরও প্রস্তুতকারকদের এব্যাপারে কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনা চলছে।