অশালীন ছবি, ভিডিয়োতে সুপারইম্পোজ করে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে মুখ। তারপর সেই ছবি, ভিডিয়ো পাঠিয়ে চাওয়া হচ্ছে মোটা টাকা। নয় তো তা পর্ন সাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দেশজুড়ে সম্প্রতি বেশ কিছু এমন অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে।
বিশেষত মহিলা সোশ্যাল মিডিয়া, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের টার্গেট করছে এই প্রতারকরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হরিয়ানা, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের নির্দিষ্ট কোনও গ্যাং-ই এই ধরনের অনলাইন ব্ল্যাকমেলিংয়ের চক্র ফেঁদেছে।
শুধু মহিলা নন, পুরুষরাও রয়েছেন নিশানায়। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের কাছে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, হঠাত্ই এক অপরিচিত মহিলা তাঁকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মেসেজ করে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চান সেই মহিলা। ওই ব্যক্তির সন্দেহ হওয়ায় নম্বর দেননি। এরপরে বারবার তাঁকে ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো কল করতে শুরু করেন ওই মহিলা। প্রথমে তিনি ধরেননি। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে একবার ধরেন।
রিসিভ করতেই দেখেন এক মহিলা অশ্লীল ভঙ্গি করছেন। সঙ্গে সঙ্গে কল কেটে ব্লক করে দেন ওই ব্যক্তি। এর কিছুদিন পর থেকেই তাঁর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের কাছে ইনস্টাগ্রামে অপরিচিত অ্যাকাউন্ট থেকে মেসেজ আসতে শুরু করে। সেখানে ভিডিয়ো কলের স্ক্রিন রেকর্ডিং পাঠানো হয়। তাতে দেখা যায় ওই ব্যক্তি ভিডিয়ো কলে মহিলার সঙ্গে 'সেক্স চ্যাট' করছেন।
বর্তমানে মুখের আদল অন্য ভিডিয়োতে বসানো কোনও ব্যাপারই নয়। ইনস্টাগ্রামেই এরকম ফিল্টারের বহু ভিডিয়ো দেখতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন সিনেমার চরিত্রে মজার ছলে নিজের মুখ বসান নেটিজেনরা। সেই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করেই এমনটা করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে মেওয়াট থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।