করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে ছোটো ছোটো কনটেনমেন্ট জোন ও ‘করোনা কার্ফুর’ উপর জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কোভিড -১৯ পর্যালোচনায় রাজ্যগুলোর জারি করা নাইট কার্ফুকে সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ‘করোনার কার্ফু’ রাত ৯ টায় শুরু করা উচিত। বৃহস্পতিবার রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে হওয়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নাইট কার্ফুর বদলে ‘করোনা কার্ফু’ ব্যবহার করতে আবেদন জানিয়েছেন। রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের উপর বেশি জোর দিতে চাইছি। আর করোনা কার্ফুর সময় রাত ৯টা কিংবা ১০ টা থেকে শুরু করে সকাল ৫টা—৬টা অবধি করলে ভাল হয়। করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই প্রস্তাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ আরও একবার মাস্ক ব্যবহার করতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে আমাদের। এছাড়াও করোনার সুরক্ষার বিধিগুলো অবলম্বন করতে হবে।’
করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ‘টিকা উৎসব’ পালনের পরামর্শও দিয়েছেন। এই বৈঠকে মৃত্যুর হার রোধ করার বিষয়ও উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ মৃত্যুর হার যাতে কমে, সেবিষয়ে আমাদের যতটা সম্ভব চেষ্টা করতে হবে। আমাদের কাছে যাতে রোগীদের রোগ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ ডেটা মজুত থাকে, যাতে তাঁদের প্রাণ বাঁচানো যায়, তাও নিশ্চিত করতে হবে।’
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী কোভিড পরীক্ষার উপর জোর দিতে বলেন। তিনি বলেন, ‘ আমি সবাইকে আবেদন করছি, যাতে আপনারা করোনা পরীক্ষার ওপর জোর দেন। ৭০ শতাংশ আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানো আমাদের লক্ষ্য। করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়লেও, যতটা বেশি সম্ভব করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়াও উপযুক্ত নমুনা সংগ্রহ করাও অত্যান্ত জরুরি। সেই নমুনা উপযুক্ত জায়গায় পরীক্ষা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্য যেমন মহারাষ্ট্র, গুজরাত, ছত্তিশগড়, পঞ্জাব করোনার প্রথম ঢেউ কাটিয়ে এসেছে। এটা খুবই গুরুতর ব্যাপার যে, এরপর সাধারণ মানু্ষ এখন অনেকটাই অসচেতন হয়ে পড়েছে। এমনকী, বেশিরভাগ রাজ্য প্রশাসনও নিরুদ্বেগ হয়ে পড়েছে।’