সংসদে হামলার ঘটনায় বিরোধী সাংসদদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। উলটে বিরোধী সাংসদের বিপুল পরিমাণে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারপর পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে একের পর এক বিল। কিন্তু সংসদে স্মোক বোমা নিয়ে হামলার ঘটনায় চিন্তিত স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হঠাৎ হাজির হন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। সেখানে তাঁদের মধ্যে এই নিরাপত্তা ভেঙে সংসদে হামলা নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। সংসদ মুলতুবি হওয়ার পর এই বৈঠক হয় দু’পক্ষের মধ্যে।
এদিকে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ভেঙে হামলার ঘটনায় আটক করা হয়েছে কর্নাটকের এক যুবককে। বুধবার রাতে কর্নাটকের বগলকোট থেকে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নয়াদিল্লি নিয়ে আসা হয়েছে। গত বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের কাছে ছিল রংবোমা। সেসব তারা চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। আর হলুদ ধোঁয়ায় ঢেকে যায় সংসদ। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাদের ধরে নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এখন যা যা নিরাপত্তার জন্য নেওয়া দরকার, অবশ্যই নিতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকারকে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে সংসদের বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয় নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডে নামে দু’জনকে। সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লির থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে ললিত ঝা এবং মহেশ কুমাওয়াত। তাঁদের সকলকেই একসপ্তাহের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে স্পিকারের সঙ্গে কর্নাটক বিধানসভায় হওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়েও আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিধায়কের ছদ্মবেশে বিধানসভায় ঢুকে পড়েছিল। ওই ব্যক্তিকে অবশ্য ১৫ মিনিটের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: মতুয়া মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বনগাঁয়, বাংলাদেশ থেকে এল জল–মাটি
এছাড়া সংসদ ভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এবার পরিবর্তন করা হল। আজ, বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, সংসদ ভবন চত্বরের একটা বড় অংশের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল দিল্লি পুলিশকে। বদলে সেই গুরুদায়িত্ব সামলাবেন সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স অর্থাৎ সিআইএসএফ জওয়ানরা। সংসদ চত্বরে ঢোকার সময় ফ্রিস্কিং থেকে শুরু করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে দেখভাল করবেন সশস্ত্র জওয়ানরা। বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিনহার সুপারিশে সংসদে ভিতরে ঢুকতে পেরেছিল দুই যুবক। তবে সংসদের ঘটনা নিরাপত্তার নানা দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।