দেশে খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। তবে স্থানীয়ভাবে কয়েকটি জায়গায় বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই পরিস্থিতিতে করোনার নমুনা পরীক্ষার গতি যাতে কোনওভাবে কমে না যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের শীর্ষ আধিকারিকদের থেকে দেশে টিকাকরণের ‘সাফল্যের’ কাহিনিও শোনেন।
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং করোনা টিকাকরণের অগ্রগতি নিয়ে শনিবার কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। সেখানে তিনি জানান, কোনও এলাকায় সংক্রমণ রুখতে নমুনা পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। তাই কোনওমতেই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমানো যাবে না।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে কীভাবে টিকাকরণ হচ্ছে, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে মোদীকে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। বয়স, রাজ্য, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের ভিত্তিতে টিকাকরণের অগ্রগতির বিষয়েও জানানো হয়েছে। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন যে আগামিদিনে টিকার জোগান আরও বাড়বে। ঘরোয়াভাবে টিকার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
গত ২১ জুন থেকে দেশে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বিনামূল্যে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শনিবারের বৈঠকে আধিকারিকরা মোদীকে জানান যে গত ছ'দিনে দেশে ৩.৭৭ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। যা মালয়েশিয়া, সৌদি আরব এবং কানাডার মতো দেশের জনসংখ্যার থেকেও বেশি। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে দেশের ১২৮ টি জেলায় ৫০ শতাংশের বেশি ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের টিকাকরণ হয়েছে। ১৬ টি জেলায় সেই হার ৯০ শতাংশেরও বেশি। ক্রমবর্ধমান টিকাকরণের হারের প্রশংসা করেছেন মোদী। সেইসঙ্গে আধিকারিকরা মোদীকে জানিয়েছেন, টিকা নিয়ে যাতে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়, সেজন্য উদ্ভাবনী পন্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী।