ফারিহা ইফতিখার
মাতৃভাষায় শিক্ষাদান। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসারে ভারতের পড়ুয়ারা এবার ন্যায় বিচার পেয়েছে। এটিকে সামাজিক ন্যায়ের সাপেক্ষে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী। মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের পক্ষে জোরালো সওয়াল মোদীর।
শনিবার দিল্লিতে অখিল ভারতীয় শিক্ষা সমাগমের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় শিক্ষানীতির তিনবছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই উদ্যোগ। দুদিনের কর্মসূচি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেয় ভারতবর্ষ। একাধিক দেশ আইআইটি ক্যাম্পাস তৈরির জন্য ভারতকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাতৃভাষায় এই যে শিক্ষাদান এটা ভারতের পড়ুয়াদের ন্যায় বিচার দিয়েছে। এটা সামাজিক ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে একটা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এডুকেশন ও স্কিল কারিকুলামের উপর ১২টি ভাষায় অনুবাদ করা বই প্রকাশ করেন। এই জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে আঞ্চলিক ভারতীয় ভাষায় স্কুল ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। তিনি বলেন, যারা ভালো করে ইংরাজি বলতে পারেন না তাদের চিরদিন অবহেলা করা হয় ও তাদের প্রতিভার স্বীকৃতি পায় না। তার জেরে বহু গ্রামীণ এলাকার পড়ুয়ারা চিরদিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা ঠিক নয়। তিনি বলেন, এখন ভারত জাতীয় শিক্ষানীতির পথে চলছে। এমনকী রাষ্ট্রসংঘেও আমি ভারতীয় ভাষায় কথা বলেছি। জানিয়ে দিলেন মোদী।
তিনি জানিয়েছেন, সোশ্যাল সায়েন্স থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং সবগুলিই ভারতীয় ভাষায় শেখানোর সুযোগ রয়েছে। যখন কোনও পড়ুয়া তার ভাষার প্রতি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তখন তার শিক্ষার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা থাকে না। তিনি বলেন, ওই ভাষা নিয়ে রাজনীতি যারা করছে তাদের দোকান বন্ধ করে দিন। জাতীয় শিক্ষানীতি দেশের প্রতিটি ভারতীয় ভাষাকে সম্মান জানাচ্ছে। ক্লাস ৩ থেকে ১২ ক্লাস পর্যন্ত ১৩০টি বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে। ২২টি ভাষায় এগুলি পড়ানো হচ্ছে। শক্তিতে ভরপুর নতুন প্রজন্ম তৈরির ব্যাপারে সওয়াল করেন তিনি। দাসত্বের মনোভাব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতার অমৃতকাল পালনের জন্য তিনি সকলকে অনুরোধ করেন। মোদী জানিয়ে দেন, জাতীয় শিক্ষানীতি এবার একটা বড় ভূমিকা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী স্কুলস ফর রাইসিং ইন্ডিয়া স্কিমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৬২০৭টি স্কুলকে উন্নতিকরণের জন্য ৬৩০ কোটির প্রথম পর্যায়ের টাকা বরাদ্দ করেছেন।