বড় সঙ্কটে মধ্যপ্রদেশের কমলনাথের সরকার। সংবাদসংস্থা ANI- জানাচ্ছে ছয় মন্ত্রী সহ কংগ্রেসের ১৯ বিধায়ক বিজেপি শাসিত কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে উড়ে গিয়েছেন। সোমবার রাতে আরও এক বিধায়কের আসার কথা আছে। এদের বেঙ্গালুরুর সংলগ্ন রিসর্টে রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এদের মধ্যে বেশ কিছুজন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে জানা যাচ্ছে।
এদিন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। পরে আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং কমলনাথের সঙ্গে দেখা করেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগামীকাল বিজেপির মধ্যপ্রদেশ পরিষদীয় দলের বৈঠক ভোপালে।
১৬ মার্চ থেকে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধিবেশেন শুরু হবে। সেখানে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে বিজেপি। সূত্রের খবর, বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালি কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে যোগ রেখেছেন।
অন্যদিকে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর কমল নাথ বলেন যে যাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, তারা ফিরে এসেছেন ও তীর্থে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। কংগ্রেস লাগাতার অভিযোগ করছে অর্থবলের অপব্যবহার করে বিজেপি মধ্যপ্রদেশ সরকারকে ফেলার চেষ্টা করছে।
২৩০ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেসের ১১৪ আসন আছে। চারজন নির্দল, বিএসপির দুইজন ও সপার একজনের সমর্থনে সরকার চলছে কংগ্রেস। বিজেপির আছে ১০৯ বিধায়ক। তাই খুব নিরাপদ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই কংগ্রেসের।
তবে এই পুরো অস্থিরতার মধ্যে অনেকে জ্যোতিরাদিত্য ফ্যাক্টরটি দেখতে পাচ্ছেন। গত মাসে তিনি বলেছিলেন কমননাথ সরকার নিজের কাজে ব্যর্থ হলে তিনি রাস্তায় নামবেন। মধ্যপ্রদেশের শ্রমমন্ত্রী মহেন্দ্র সিং সিসোদিয়া বলেছেন যে জ্যোতিরাদিত্যের কথা অবজ্ঞা করলে সংকটে পড়ে যাবে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এখনও পর্যন্ত সেই দিকেই এগোচ্ছে ঘটবাপ্রবাহ। কর্নাটকের মতো মধ্যপ্রদেশেও সরকার বদলায় কিনা, এখন সেটাই দেখার।