তিয়াত্তর বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক তথা রাজনীতিক চেতেন্দ্র প্রতাপ সিং চৌহান, যাঁকে চেতন চৌহান নামেই চিনত আপামর ভারত তথা বিশ্ব।
১৯৪৭ সালের ২১ জুলাই উত্তর প্রদেশের মেরঠে জন্ম চেতন চৌহানের। ১৯৬০ সালে তাঁর সেনা আধিকারিক বাবা কর্মসূত্রে পুণেতে বদলি হওয়ার পরে সেখানেই কৈশোরের দিনগুলি কাটে চেতনের। শহরের ওয়াডিয়া কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে পুণেতেই তাঁর ক্রিকেট প্রতিভার আত্মপ্রকাশ ঘটে।
১৯৮১ সালে আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের সমাপ্তি ঘটার পরে ১৯৮৫ সাল পর্যন্তও তিনি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন। এর পরে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য হন।
১৯৯১ সালে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রথম বার লোক সভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেই নির্বাচনে অমরোহা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে তিনি প্রথম বার সাংসদ হয়ে দিল্লি পৌঁছান।
১৯৯৬ সালে ফের ওই কেন্দ্র থেকে লড়লেও লোক সভা নির্বাচনে পরাজিত হন চৌহান। তবে ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে জিতে তিনি দ্বিতীয় বার বিজেপি সাংসদ হন। ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালের লোক সভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয়ের মুখ দেখতে পাননি এই বিজেপি নেতা।
লোক সভার সাংসদ থাকাকালীন তিনি অর্থ সংক্রান্ত সাংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটিতেও নিযুক্ত হন।
এর পর ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি অমরোহা জেলায় নওগাঁওয়া সাদাত কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়েন। প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জাভেদ আব্দিকে পরাজিত করে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন চেতন চৌহান। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে গঠিত সরকারে তিনি ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর মাঝেই জাতীয় ফ্যাশন ইনস্টিটিউট-এর (নিফ্ট) প্রধান হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে নিয়োগ করলে তুমুল বিতর্কের মাঝে পড়েন চৌহান। তবে এ সবের পাশাপাশি তুখোড় বিজেপি সংগঠক হিসেবে উত্তর প্রদেশে দলের ভিত মজবুত করায় চেতন চৌহানের দক্ষতা স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।