জম্মু ও কাশ্মীরে তিন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। জনা যায়, গত শুক্রবারের জঙ্গি হামলর ঘটনার পরে এই তিনজনকে আটক করেছিল সেনা। তাদের জেরা করার জন্য আটক করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাদের মৃত্য়ু কীভাবে হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই মাঝে ব্রিডেগিয়ার পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ মোট তিনজকে পুঞ্চ থেকে বদলি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সেনা সূত্রে। জানা যায়, মৃত তিন স্থানীয়র নাম - মহম্মদ সাফির, সাবির আহমেদ, শওকত হোসেন। (আরও পড়ুন: বাস্তবের 'ডাঙ্কি'! ছিলেন ৩০৩, ফ্রান্স থেকে ফিরলেন ২৭৬, এবার বাকিদের কী হবে?)
আরও পড়ুন: পরপর হামলার জের, সাগরে ব্রহ্মোস মিসাইল বহনকারী ৪টি রণতরী মোতায়েন করল নৌসেনা
এদিকে বড়দিনের সময় উত্তপ্ত পুঞ্চে যান সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ রাণ্ডে নিজে। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন তিনি। তবে 'পেশাদার' ভাবে অভিযান চালাতে বলেন জেনারেল পাণ্ডে। এই বিষয়ে সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ পাবলিক ইনফরমেশন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করে লেখেন, ‘জেনারেল মনোজ পাণ্ডে পুঞ্চ সেক্টর পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। সেনাপ্রধান ঘটনাস্থলে কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অত্যন্ত পেশাদার পদ্ধতিতে অভিযান পরিচালনা এবং সমস্ত চ্যালেঞ্জের মধ্যেও অবিচল থাকার জন্য তাদের উৎসাহিত করেছেন।’
আরও পড়ুন: মোদীর হ্যাটট্রিক হবে? INDIA-NDA দ্বৈরথে এগিয়ে কে? যা জানাল জনমত সমীক্ষা
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে সেনার গাড়িতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই হামলায় ৫ সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। জঙ্গিরা দু'টি সেনা গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ওই দু'টি গাড়ি তখন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। জঙ্গিদের কাছে প্রচুর অস্ত্র ছিল বলে খবর। পরে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার সকালেও সেই এনকাউন্টার চলে। জানা যায়, পুঞ্চের ঢেরা কি গলির থানামান্ডি-সুরানকোট এলাকায় জঙ্গিরা রয়েছে বলে বুধবারই খবর পেয়েছিল সেনা। সেই মতো অভিযান চালিয়েছিল তারা। সেই সময় জঙ্গিরা সেনার গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল বৃহস্পতি বিকেলে। এরপর জঙ্গিদের সাথে এনকাউন্টার হয় সেনার। এরপর টোপা মাস্টানডারা গ্রাম থেকে কয়েকজনকে পাকড়াও করে। ধৃতদের নাম হল সাফির হুসেন, মহম্মদ শওকত এবং শাবির আহমেদ। কিন্তু পরে সেনা হেফাজতে তাদের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলেন আত্মীয় পরিজনরা।
আরও পড়ুন: বড়দিনে বিপত্তি, ফিরল মৌরবির স্মৃতি, ক্রিসমাসের জন্য তৈরি ব্রিজ ভেঙে আহত বহু
অন্যদিকে, ঘটনায় নিহত তিন জনের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে জম্মু- প্রশাসন। তিন নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়ে সেনাবাহিনী একটি কোর্ট অফ ইনকোয়ারি গঠন করেছে। পাশাপশি সেনাবাহিনী একজন ব্রিগেডিয়ারকে বদলি করেছে। এছাড়াও, ৪৮ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ২ অফিসারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জেনারেল মনোজ পাণ্ডে এই ঘটনায় স্বচ্ছভাবে তদন্ত করতে বলেছেন।