বিধানসৌধের মধ্যে কেউ পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিলে একেবারে কঠোতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাফ জানিয়ে দিলেন কর্ণাটকের মুখ্য়মন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় সৈয়দ নাসির হুসেন জয়ী হয়েছিলেন। এরপরই কংগ্রেস কর্মীরা এনিয়ে উল্লাস করেন। আর সেই সময় তাদের একাংশ পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর জেরেই এবার কঠোরতম সিদ্ধান্ত কর্ণাটকে।
এদিকে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই বিজেপি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। পাশাপাশি রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি বিক্ষোভ দেখায় বলে খবর। আর এই অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই সিদ্ধারামাইয়া জানিয়ে দেন কাউকে রেয়াত করা হবে না। বিধানসৌধের মধ্য়ে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করতেই পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই এনিয়ে মুখ খুললেন সিদ্ধারামাইয়া। তিনি বলেন, এটা শুধু বিজেপির অভিযোগ নয়,মিডিয়াও এটাই বলছে।
ওখানকার মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন যদি এটা দেখা যায় যে এফএসএল রিপোর্টে প্রমাণিত হয় যে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগন সত্যি সত্যিই দেওয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান যারা দিয়েছে তাদেরকে আড়াল করার কোনও ব্যাপারই নই।
সিদ্ধারামাইয়া জানিয়েছেন, আমরা ওই ভিডিয়ো ফরেনসিকের কাছে পাঠিয়েছি। তারা পরীক্ষা করে দেখবেন। যদি দেখা যায় বাস্তবিকই এই ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়েছিল তবে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। যদি কেউ এই ধরনের স্লোগান দেন তবে তাকে রেয়ার করা হবে না। তাকে ছাড়া হবে না। যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে কঠোরতম ব্যবস্থা নেব।
তিনি প্রশ্ন করেন যারা এই ধরনের স্লোগান দিলেন তারা এসব করে ঠিক কী বোঝাতে চাইলেন? এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছেন যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা না হয় তবে আন্দোলন হবে। গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে হুসেনকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের শিষ্য় বলে উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, নাসির হুসেন এই ঘটনার নিন্দা করেননি। তিনি উলটে মানুষকে বিপথে চালিত করছেন। তাঁর মতে কেউ ভুল তথ্য় দিচ্ছেন। এটা আরও বিপজ্জনক।