কানাডায় ঔপনিবেশিকতার প্রতিবাদে ভাঙা হল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং রানি ভিক্টোরিয়ার মূর্তি। ঘটনাটি কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের উইনিপেগে ঘটেছে। এছাড়া ব্রিটিশ নাবিক ক্যাপ্টেন জেমস কুকের মূর্তিও ভাঙা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কানাডার কয়েকটি আবাশিক স্কুলে অচিহ্নিত কবর পাওয়া গিয়েছে। এরপরই সেখানে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। এই স্কুলগুলি ১৯ ও ২০ শতকে ক্যাথলিক চার্চের অধীনে ছিল। ১৮৩১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত চালু ছিল এ ধরনের ১৩০টি আবাসিক স্কুল। দেশটির আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিশুদের সভ্য করে তুলে কানাডার মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এই স্কুলগুলি তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময়ে দেড় লাখের বেশি শিশুকে জোর করে এসব স্কুলে রাখা হত।
মূলত স্কুলের ভেতর খুবই অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে বাস করার কারণে এদের অনেকের মৃত্যু হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে আবাসিকের পড়ুয়াদের সেই দেহ এই কবরে রয়েছে। এই ঘটনার জন্যে ব্রিটিশ সাম্রাজকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে কানাডার মানুষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার অনেক শিক্ষার্থী সেখান থেকে পালিয়েও গিয়েছিলেন এই সময়। এদিকে কানাডা দিবস পালন থেকে বিরত থাকারও আবেদন জানিয়েছেন বহু নাগরিক। কারণ এটি ঔপনিবেশিকতার প্রতীক।
এর আগে, মে ও জুন মাসে দুটি বিদ্যালয়ে কয়েকশো অচিহ্নিত কবর পাওয়া গিয়েছে। এরপর সম্প্রতি সেদেশের ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের একটি সাবেক আবাসিক বিদ্যালয়ের কাছে ১৮২টি অচিহ্নিত কবর পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে আবাসিক স্কুলে শিশুদের জোর করে রাখার ঘটনায় ২০০৮ সালে ক্ষমা চেয়েছিল কানাডার সরকার। তবে স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ক্যাথলিক চার্চ আজও পর্যন্ত ক্ষমা চায়নি।